মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া): বগুড়ার আদমদীঘিতে মর্জিনা বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামি আবু জিহাদ ওরফে জেয়াদ মিয়া (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট ) ভোরে মুরইল বাজার এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আবু জিয়াদ কুড়িগ্রাম জেলার চীলমারি থানার পূরব মাচবান্দা (পাত্রখাতা হাজিপাড়া) গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে।
আবু জিহাদ বর্তমানে আদমদীঘি থানার মুরইল বাজার এলাকায় ভগ্নিপতি সালাউদ্দিনের বাসায় থাকতেন। অনৈতিক কাজ কর্মের টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জেরে মর্জিনাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিম রেজা বলেন, নিহত মর্জিনা বেগম প্রায় ৪ বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যে আদমদীঘি উপজেলার নিজ এলাকায় আসতেন। এরই এক পযার্য়ে আসামি আবু জিহাদের সাথে অনৈতিক কার্যক্রমে লিপ্ত হন মর্জিনা। গত ২৭ জুলাই দিবাগত রাতে অনৈতিক কাজ কর্মের টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জেরে মর্জিনাকে শাসরুদ্ধ করে হত্যা করে জিহাদ। এরপর মুরইল বাজারের উত্তরে মাঠের মধ্যে নিহতের মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। গত ২৮ জুলাই বাজারের পাশে কোচপুকুরিয়া নামক স্থান থেকে মর্জিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ উদ্ধারের পরে আদমদীঘি থানায় অজ্ঞাত নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট ) ভোরে মুরইল বাজার এলাকা হতে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আবু জিহাদ ওরফে জেয়াদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্যারের দিক নির্দেশনায় আদমদিঘি সার্কেল নাজরান রউফ স্যারের তত্ত্বাবধানে তদন্তের মাধ্যমে আসামীকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে আসামি নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। সম্পাদনা: হ্যাপী
আপনার মতামত লিখুন :