মাজহারুল মিচেল: [২] স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়েন্ত্রণে সামাজিক সম্পৃক্ততাকে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
[৩] ভাইরোলজিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. তারেক মাহ্বুব খান বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সমাজের সকল পেশাজীবিকেই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কমিউনিটির সম্পৃক্ততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
[৪] এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকার যে জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তারা তাদের এলাকার বিভিন্ন জোনে কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটি বা দল তৈরি করে দিতে পারেন। যারা এলাকার বিভিন্ন নির্মনাধীন ভবনের পানি জমে রয়েছে কিনা সেগুলো নিয়মিত খেয়াল রাখবেন।
[৫] ড. তারেক বলেন, জলবায়ু যেহেতু বিরুপ রুপ নিয়েছে। সেহেতু রোগের বিস্তার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বাড়বে।
[৬] তিনি ডেঙ্গু রোগ মোকাবেলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন যে একটি একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই বিপদ মোকাবেলা করা অসম্ভব।
[৭] তিনি ডেঙ্গু পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে সিটি করর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান।
[৮] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (চব্বিশ ঘন্টায়) আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৮৬ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৯] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৫৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
[১০] চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৭ হাজার ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৫৬৩ জন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি
আপনার মতামত লিখুন :