শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:১৮ দুপুর
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ, নেই প্রতিকার

রওশন হাবিব, গাইবান্ধা : নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল। রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নামে নেয়া হচ্ছে টাকা, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের ভিতর ও বাহিরে যেন দূর্গন্ধের শেষ নেই বারবার অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠলেও নেই কোন প্রতিকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অজুহাত জনবল সংকট। সেবা নিতে আসা মোশারফ হোসেনের বাবার পা ভেঙ্গে যাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ আনুযায়ী পা প্লাস্টার করার নির্দেশ দিলে হাসপাতালের ৬৮ নাম্বার রুমে গেলে এক পা প্লাস্টারের বিনিময়ে এক হাজার টাকা দাবি করে অফিস সহকারী একরামুল ও তার সহযোগী।

এতে রোগীর স্বজনরা আটশত টাকা দিতে চাইলেও এক হাজার টাকার কমে হবে না বলে জানায় অফিস সহকারী ও তার সহযোগী। গাইবান্ধা জেলা হাসপালের অফিস সহকারী একরামুল ও তার সহযোগী ডেসিং ও প্লাস্টারের বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের কাছে থেকে নিচ্ছে মন মত টাকা।

গাইবান্ধা জেলায় ২৫০ শয্যার হাসপাতালে একশো জনের অবকাঠামো রোগী ভর্তি আছে ২৮০ জন। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে, বারান্দা ও একই বেডে দুইজন করে চিকিৎসা নিচ্ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালের ভিতরে, বাহিরে এমনকি ওর্য়াড গুলোতেও ময়লার আবর্জানায় ভরা দুর্গন্ধে থাকার মত কোন পরিবেশ নেই।

রোগী ও স্বজনরা জানায়, ওষুধ নাই, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, এক বেডে দুইজন করে রোগী গাদাগদি করে থাকতে হচ্ছে। ওষুধ সংকট, বাহিরে থেকে ওষুধ কিনে এনে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে, ডাক্তার নাই ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই এই হাসপাতালে।

ডাঃ শিহাব মো. রেজওয়ানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জেনারেল হাসপাতাল, গাইবান্ধা জানায়, একশো জনের অবকাঠামোতে প্রায় দিনেই ২৮০ জন রোগী ভর্তি থাকলে কীভাবে সম্ভব প্রশ্ন রেখে এই আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, যেখানে একজন রোগীর সাথে লোক আসার কথা একজন।

সেখানে প্রতিদিন চার-পাঁচ জন লোক আসে এত লোকের সেবা দিতে জনবল এই হাসপাতালে নেই। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রোগীদের চাপ বেশি হলেও স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি নেই।

আপর দিকে হাসপাতালে দালাল চক্রো আছে সে বিষয়ে উর্ধতণ কর্মকর্তাদের জানানো  হয়েছে। সরকারী হাসপাতালে সেবার বিনিময়ে কোন টাকা নেয়ার নিয়ম নেই যদি কেউ এই ধরণের কাজ করে থাকে তা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।সম্পাদনা: আল আমিন 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়