শাহীন খন্দকার: আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য তুলে ধরেন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
এসময়ে অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে রাজধানীর দুই ওয়ার্ডে ২১টি টিম ১০ দিনব্যাপী ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে সার্ভে পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ শতাংশ বিভিন্ন পাত্রে ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২২ শতাংশ পাত্রে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। গত ১১-২৩ আগস্ট দুই সিটি কর্পোরেশনে এই জরিপ হয়েছে। জরিপকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৬২টি ওয়ার্ডে তারা মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাড়ি পরীক্ষা করেছেন।
এসব বাড়িতে তারা মোট ১ হাজার ৩৩৭টি ভেজা পাত্র দেখেছিলেন। তারা প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে মশার লার্ভা পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ২২ শতাংশ ভেজা পাত্রে মশার লার্ভা ছিল। এদিকে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড (কমলাপুর ও মতিঝিল), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ( নবাবপুর ও বংশাল) এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ারী ও নারিন্দা) এলাকায়।
সার্ভেতে আরও প্রকাশ ২ হাজার ৮২৯টি বাড়িতেই নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, আর ১৫৯টি বাড়িতে ডেঙ্গু ফলাফল পজিটিভ এসেছে। ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, মোট পজিটিভ আসা বাড়িগুলোর মধ্যে ৬৩টি বাড়ি ডিএনসিসিতে এবং ৯৬টি বাড়ি ডিএসসিসিতে অবস্থিত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় শতকরা শতাংশ বিবেচনায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে এ লার্ভা পাওয়া যায়।
অন্যদিকে দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে দেখা যায় ১০ শতাংশ বাড়িতেই এই লার্ভা পাওয়া গেছে। জরিপে প্রকাশ, দুই সিটিতে পড়ে থাকা বা ফেলে রাখা ভেজা পাত্রে সবচেয়ে বেশি মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ঘর বা নির্মানাধীন ভবনের মেঝে প্লাস্টিকের ড্রাম বা প্লাস্টিকের নানা ধরনের পাত্রেও এই লার্ভা পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :