শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২২, ০৮:৩৫ রাত
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২২, ০৮:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএসএমএমইউয়ে আইভাসের মাধ্যমে ১ম পিসিআই সম্পন্ন

বিএসএমএমইউ

ভূঁইয়া আশিক রহমান: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড বা ইন্ট্রাভাসকুলার ইকোকার্ডিওগ্রাফি প্রযুক্তির মাধ্যমে (আইভাস) ১ম পারকুটেনাস করোনারি ইন্টারভেনশন (পিসিআই) ও দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হলো।

রবিবার সকাল ৯টায় (৭ আগস্ট ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ) হৃদরোগ বিভাগের শ্রেণিকক্ষে এসব কর্মসূচির প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আইভাসের মাধ্যমে ১ম পিসিআই ও কর্মশালার মাধ্যমে অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ চিকিৎসকদের জ্ঞানের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে। যার ফলে জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদবিভাগের সেবার মান আর্ন্তজাতিক মানের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব নেবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মান আরো বৃদ্ধির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগকে আধুনিক মানের করার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে। হৃদরোগ বিভাগের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য সত্যিকার অর্থে আধুনিক কার্ডিয়াক সেন্টার নির্মাণের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষা, সেবা ও গবেষণায় এক্টিভিটি যত বাড়ানো যায় রোগীদের সেবা তত বৃদ্ধি পাবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজলকৃষ্ণ ব্যানার্জী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুর রহমান। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভোস্ট ডা. এস এম মোস্তফা জামান। এ সময় বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকসহ চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইভাস প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথম পিসিআই পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান এবং ভারতের রুবি জেনারেল হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুনীপ ব্যানার্জী। পুরো কার্যক্রমটি ভিডিওর মাধ্যমে সরাসরি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। 

ইন্ট্রা ভাস্কুলার আল্ট্র সাউন্ড (আইভাস) হল রক্তের ভেসেলের মধ্যেকার আলট্রা সাউন্ডের ছবি। এর মাধ্যমে কোন ভেসেল এর প্রকৃত ব্যাস এবং ঠিক কতটা অংশ জুড়ে ব্লকেজ আছে তা জানা যায়। এর জন্য পিটিসিএ করার আগে একটি আইভাস ক্যাথেটার করোনারি আর্টাটিতে প্রবেশ করান হয়। এই আইভাস ক্যাথেটারের মাথায় একটি  ট্রান্সডিউসার লাগানো থাকে। এখান থেকে অতি উচ্চ তরঙ্গ বিশিষ্ট ধ্বনি সৃষ্টি হয়।

সেই ধ্বনি কর্ণগোচরের বাইরে থাকে কিন্তু আর্টারির দেওয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে একটি চিত্রের জন্ম দেয় যা থেকে আর্টরির ভিতরের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে নিখুঁত ভাবে জানতে পারা যায়। ফলে হৃদযন্ত্রে ঠিক কি সাইজের স্টেন্ট লাগবে তা আগে থেকেই নিখুঁত ভাবে জানা যায়।

বিশেষ করে লম্বা ব্লকেজের ক্ষেত্রে -যেখানে ব্লকেজের মাথার ও লেজের দিক দুটির আর্টারি ব্যাসের দিক দিয়ে অত্যন্ত অসমান। ব্লকেজের চরিত্র সম্পর্কে অবহিত করে। যেমন- ব্লকেজ অসমান কিনা (ইসেন্ট্রিক), কতটা ক্যালসিয়াম (ক্যালসিফাইড) আছে বা ব্লকেজ সফট না হার্ড ইত্যাদি।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল স্টেন্ট আর্টারির দেওয়ালে ঠিক মত বসলো কি না। ঠিক মত না বসলে স্টেন্ট থ্রম্বোসিস বা ভবিষ্যতে রিসটেনোওসিস হতে পারে। আইভিইউএসের মাধ্যমে আমরা নিখুঁতভাবে বুঝতে পারি যে স্টেন্ট কিভাবে আর্টারির দেয়ালের সাথে বসে গেছে। এর ফলে অনেক ভবিষ্যৎ বিপদের হাত থেকে রোগী রেহাই পেয়ে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়