শাহীন খন্দকার: প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান বলেন, বিএসএমএমইউ অধীনে নির্মিত এ সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে একশ ভাগ শেষ হয়েছে। মেডিকেল ইকোপমেন্টও ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সিটিস্ক্যান ও এমআরআই মেশিনও বসেছে, কম্পিউটারও বসা শুরু হয়েছে এবং এসআইটিম তারাও দ্রুতগতিতে কাজ করছেন। তিনি বলেন এই হাসপাতালে বৈশিষ্ট্য বিশ্বের উন্নত অন্যান্য হাসপাতালের ন্যায় রিসিভশন থেকে শুরু করে সব কিছুই কম্পিউটার বেইজডে হবে।
কিচেন (রান্না ঘর) অত্যন্ত উন্নত মানের এবং সম্পন্ন অটোমেটিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে ডিসওয়াশ । রান্না ঘরে যে খাবার রান্না হবে তা স্টেলাইট পদ্ধতিতে। ফুট যখন সার্ভাব করা হবে রোগীদের স্ট্রেলাইড পাত্রে এবং বহন করার টলিগুলোও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
হাসপাতালে খাদ্য স্টোর করা হবে তার জন্য ফ্রির্জাভ রোমগুলোতে রোগীদের জন্য একমাসের খাবার সংরক্ষণ করা যাবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বলে জানান তিনি ।
এখানে রয়েছে মাইক্রোওভেন সেখানে রোগীদের খাবার গরম করে দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে রোগীদের খাদ্য টলিগুলো উন্নত মানের এবং তাপ নিয়ন্ত্রিত। ডা. ফুলফিকার রহমান খান বলেন, রোগীদের বিছানাপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য উন্নত মানের লন্ড্রিপদ্ধতি রয়েছে। এই লন্ড্রিতে ৫ হাজার বিছানার চাদর থেকে পোশাক প্রতি ঘণ্টায় ওয়াশ করা যাবে। শুধু তাই নয় ক্লিনসহ ড্রাই হয়ে বাহির হয়ে আসবে। প্রতিটি মেশিনের সঙ্গে ড্রাইয়ার মেশিন সেট করা আছে, যা বাংলাদেশের কোন হাসপাতালেই এই পদ্ধতি নেই। আরও বলেন, রোগীর নিরাপত্তায় রয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা । তার মধ্যে অটোমেটিক পার্কিং পদ্ধতি রয়েছে, কোন গাড়ী যদি হাসপাতালে ভিতরে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে কার্ড ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে এবং বাহির হয়ে যাওয়ার পথেও কার্ড ব্যবহার করেই বাহির হয়ে যেতে হবে।
সেই সঙ্গে সম্পন্ন হাসপাতাল মাইকিং সিসটেমের আওতায় থাকবে এবং প্রতিটি ফ্লোরে স্পিকার থাকবে কোন ইর্মাজেন্সি থাকলে ,ঔ স্পীকারের মাধ্যমে অ্যানাউন্স করে শতর্ক করা হবে। রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে যদি তাৎক্ষণিকভাবে কোন চিকিৎসককে খুজেঁ পাওয়া না গেলে ঐ স্পিকারের মাধ্যমে তাকে ডেকে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, কোন রোগীর শারীরিক অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেলে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারি জানতে পারবে। অটোমেট্রিক অগ্নিনির্বাপক পদ্ধতি রয়েছে, হাসপাতালের কোথাও যদি আগুন লাগে তাহলে একটি ফায়ারঅ্যালাম বেজে উঠবে। যে রোম থেকে আগুনের উৎপদ্ধতি হবে সেই রোগ গুলোতেই একটি পানির ঝর্না দিয়ে অটোমেটিক পানি পড়া শুরু হয়ে যাবে। এক কথায় আগুন লাগলেই অটোঅ্যালাম বেজে উঠবে এবং স্প্রিংলার দিয়ে পানি স্প্রেইড শুরু করবে। আরও বলেন প্রতিটি ফ্লোরে দুটি করে সিসটেম করা থাকবে একটি দিয়ে গ্যাস আরেকটি দিয়ে পানি স্প্রে হবে। গ্যাসের মাধ্যমে কার্বনড্রাই অক্সাইডের মিশ্রণ স্প্রিং স্প্রেইট এর মাধ্যমে।
ফায়ার ফাই টিং সিক্রোরেটিই শুধু নয় হাসপাতালের কোন একটি টয়লেটের ট্যাপও যদি নষ্ট হয় তাও কন্ট্রোল আইকন এ সিগনাল দেবে। হাসপাতালের কোথাও যদি ডিজাস্টার হয় সঙ্গে সঙ্গে অ্যালাম বেজে উঠবে। এক কথায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কন্ট্রোল রোম থেকেই সব নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানালেন।
এছাড়াও এই হাসপাতাল পরিচালনার জন্য অত্যন্ত দক্ষজনবলের প্রয়োজন হবে। যদি দক্ষজনবল নিয়োগ দেওয়া না হয় তাহলে হাসপাতালটি যে আর্দশ্য উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে না বলে জানালেন তিনি।
তিনি আরও বলেন ইতিমধ্যে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আগামীতে আরও দেওয়া হবে তাদের জন্য বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যে চিকিৎসা ব্যয় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দেশের অত্যাধুনিক যে কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে তাদের চেয়ে সাশ্রয়ীসহ চিকিৎসা সেবারমান অত্যাধুনিক হবে এটা নিশ্চিত। তবে খুব দ্রুত চিকিৎসা ব্যয় নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন এই হাসপাতালে রেফারেন্সকৃত রোগীদের ই শুধু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর এবং জেলা উপজেলায় চিকিৎসকদের রেফারেন্স রোগীদেরই মুলত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :