শিরোনাম
◈ বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে ২ জন নিহত ◈ দিনাজপুরে ভোট গণনার পর সমর্থকদের উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১ ◈ শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড ◈ রাজশাহী অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত ◈ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট ◈ ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ◈ এপ্রিলের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার ◈ কবে নামবে বৃষ্টি জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ আবারো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, ১১ দিনে হিটস্ট্রোকে ৫০ জনের মৃত্যু  ◈ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৪, ০১:৩৪ দুপুর
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২৪, ১০:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারীর বয়স ৩০ হলে যেসব পরীক্ষা অপরিহার্য

শাহীন খন্দকার: [১] বয়স ৩০ হলেই নারীর শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। অজ্ঞতা ও সংকোচের কারণে স্বাস্থ্যসেবা কম নেন, ফলে বাড়ে জটিলতা। পুরুষের তুলনায় নারীরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন কম। হরমোন বিষয়ে নারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। এমন পরামর্শ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-রেজিষ্ট্রাট ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা  বলেন, ৩০ এর পরে প্রতিটি নারীর উচিত নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া। তিনি বলেন, প্রতি বছর নিয়ম করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। কারণ শরীরে কোনো রকম রোগ-জীবাণু বাসাবাধলে বা সমস্যা দেখা দিলে বিশেষ করে নিয়ম করে কয়েকটি পরীক্ষা জরুরি।

[৩] তিনি বলেন, শরীরে যদি কোনো সমস্যা থাকেও, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা গেলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যাবে এবং রোগটি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ। তিনি বলেন, বয়স বাড়লেই ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে, এই ধারণা কিন্তু ভুল। কম বয়সেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। বয়স ৩০ পেরোলেই বছরে অন্তত একবার করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি প্রতিটি নারীর।

[৪] ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা বলেন,  প্রতিটি নারীর বয়স যখন ৩০ পেরিয়ে যায় থাইরয়েড পরীক্ষা করা জরুরি। তবে শুধু থাইরয়েড নয়,পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক আছে কি না। সে ক্ষেত্রে বছরে অন্তত এক বার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতে হবে।

[৫] শ্যামলী ২৫০ শষ্যা টিবি ও অ্যাজমা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ৩০ পার হলেই নারীর বিশেষ করে জরায়ু ও ব্রেষ্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং অত্যন্ত জরুরি একটি পরীক্ষা। কারণ ব্রেস্ট থেকে ডিম্বাশয়, এমনকি জরায়ুর মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে নারীর। তাই একটা বয়সের পর এই পরীক্ষাগুলো নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।

[৬] এছাড়াও কোমড়ের ও মেরুদন্ডের হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে পুরুষের চেয়ে নারী-ই বেশি ভোগেন। সেই সঙ্গে হাঁটুতে ব্যথা,আর্থরাইটিস, গাঁটে গাঁটে ব্যথা,মাইগ্রেন,ঘাড়,কাঁধ,হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা তো আছে-ই। মতো সমস্যাগুলো নারীর-ই বেশি হয়। ৩০ পেরোনোর পর শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করানো জরুরি। সেই সঙ্গে চোখের পরীক্ষা জরুরি।

[৭] চশমা নিতে হবে কি না, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। বিশ্বের কোনও কোনও দেশের ৪০ শতাংশ  পর্যন্ত মানুষ ক্রনিক ব্যথার শিকার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। সম্পাদনা: রাশিদ 

এসকে/আর/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়