জেরিন আহমেদ: টানা কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পর বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকায় বৃষ্টির দেখা মেলে। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়। তাতে গরম থেকে স্বস্তি মিলছিল না নগরবাসীর। তাপমাত্রা অনেকটা কমলেও বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে স্বস্তি ফেরেনি। মেঘলা আকাশ ও গুমোট আবহাওয়ায় ছিলো ভ্যাপসা গরম। শুক্রবার (৯ জুন) সকাল থেকেও ঢাকায় আকাশ মেঘলা। সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে এক পশলা বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পর তা থেমেও যায়। সকাল ১১টার কিছুক্ষণ আগে নামে ঝুম বৃষ্টি।
রাজধানীর আদাবর, বিজয় নগর, তেজাগাঁও, ফার্মগেট, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, বাড্ডা, মহাখালী, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এতে তাপমাত্রা কমায় স্বস্তি নেমেছে নগরজীবনে।
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল, অর্থাৎ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছিল। শুক্রবার এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে দূর হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ‘চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের বেশ কিছু জেলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।’ এই পূর্বাভাসের কিছুক্ষন পরই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি নামলো।
রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এ সময়ের শেষদিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত আরও অগ্রসর হতে পারে। অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
জেএ/টিএবি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :