জেরিন আহমেদ: বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, আমরা খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান ঔষধ প্রভৃতির জন্য সরাসরি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। মূলত জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা প্রকৃতি থেকে মেটাতে সক্ষম হই। তাছাড়া দূষণরোধ এবং অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখতে জীববৈচিত্র্যের ভূমিকা অপরিহার্য।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন অধিদপ্তরের হৈমন্তী হলে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার।
শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটিতে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন- ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীর অবাধে বিচরণ ও প্রজননের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৫টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ২০টি জাতীয় উদ্যান, ২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, ২টি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া, ১টি উদ্ভিদ উদ্যান, ৩টি ইকোপার্ক এবং ২টি শকুন নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত গবেষণার জন্য অর্থায়ন করা হচ্ছে। দেশে প্রথমবারের মতো বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির লাল তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সালে আমরা আইন করলাম। সেখানে একটা বিষয় ছিল যে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় একটা তহবিল গঠন করা হবে। কিন্তু পাঁচ বছর হয়ে গেলে, এখনও তহবিল হয়নি। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যাবে না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
জেএ/এসবি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :