সাজ্জাদুল ইসলাম: পৃথিবী ও চাঁদের মাঝ দিয়ে অতিক্রম করলো বিশাল আকৃতির গ্রহাণু। গ্রহাণুটির আঘাত হানলে পৃথিবীর একটি শহর ধ্বংস হয়ে যেতো। আজ শনিবার বিশাল আকৃতির গ্রহাণুটি পৃথিবী আর চাঁদের মাঝখান দিয়ে উড়ে যায়। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা একে এক বিরল ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। বিবিসি
গ্রহাণুটির নাম '2023 DZ2Õ’। এর ব্যাস ছিল ৪০ থেকে ৯০ মিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এত বড় কোনো গ্রহাণুর পৃথিবীর এত কাছাকাছি চলে আসাটা এক বিরল ঘটনা ছিল যা এক দশকে একবারই ঘটতে পারে। এক মাস আগে এটির সন্ধান পান তারা।
তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে এটির পৃথিবীতে আঘাত হানার কোন সম্ভাবনা নেই, বরং তা পৃথিবী থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে এবং পৃথিবী ও চাঁদের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে অতিক্রম করেছে গ্রহাণুটি।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার রিচার্ড মোইসল বলছেন, পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে বাইনোকুলার এবং ছোট টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহাণুটি দেখা সম্ভব। ইউরোপীয মানমন্দিরগুলো গ্রহাণুটিকে দেখার সুযোগ করে দেয়।
নাসা জানায়, এ গ্রহাণু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গ্রহাণু সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। এমন বিপজ্জনক বস্তু পৃথিবীকে আঘাত হানলে কি ঘটতে পারে তা তারা এ ঘটনা থেকে অনুমান করতে সক্ষম হবেন।
মোইসল বলেন, প্রাথমিক তথ্য থেকে বোঝা গিয়েছে গ্রহাণুটি বৈজ্ঞানিকভাবে কৌতুহল উদ্দীপক বস্তু। তবে এর গঠন জানতে হলে আরো তথ্য-উপাত্ত দরকার। তিনি বলেন, এমন বড় বস্তু যদি আঘাত হানে তা ফেরানোর কোন ক্ষমতা পৃথিবীর নেই।
গত বছর নাসার ডার্ট(ডবল এস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট) মহাশুণ্য যান পরিকল্পিতভাবে পিরামিড আকৃতির গ্রহাণু ডিমোর্ফোসকে ধাক্কা দেয়। ডার্টের প্রতিক্রিয়া দেখার আগে ডিমোরফোস কক্ষপথে ১১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট পরিভ্রমণ করে।
এসআই/এএ
আপনার মতামত লিখুন :