শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শরতের কাশফুল

সনতচক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর:  জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাশবন। এখন আর গ্রামীণ জনপদে দেখা যায় না কবির সেই কল্পিত কাশবন আর ফুটে থাকা সাদ কাশফুলের কাশবন। ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস নিয়ে শরৎকালের রাজত্ব।

শরৎকাল এলেই গ্রামবাংলার ঝোপ-ঝাড়, রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মন মাতানো নাচানাচি দেখা যেত। এখন আর তেমন কাশফুল চোখে পড়ে না।

এ সময় মনের  অজান্তেই মানুষের মনে ভিন্ন রকম আনন্দের ঝিলিক বয়ে যেতো বিশেষ করে কিশোর কিশোরীর মনে।বিভিন্ন সময়ে কবি সাহিত্যিক, শিল্পী শরৎতের কাশফুলকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাচীন গ্রন্থ‘কুশজাতক’ কাহিনী অবলম্বন করে ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্য রচনা করেছেন। কাশফুল মনের কালিমা দূর করে। শুভ্রতা অর্থে ভয় দূর করে শান্তির বারতা বয়ে আনে।

শুভ কাজে ব্যবহার করা হয় কাশফুলের পাতা বা ফুল। মহা কবি কালিদাস শরৎ বন্দনায় বলেছিলেন ‘প্রিয়তম আমার, ওই চেয়ে দেখ, নব বধুর ন্যায় সুসজ্জিত শরৎকাল সমাগত।

তিনি ‘ঋতু সংহার’ কাব্যে আরও লিখেছেন ‘কাশফুলের মতো যার পরিধান, প্রফুল্ল পদ্মের মতো যার মুখ, উন্মত্ত হাঁসের ডাকের মতো রমণীয় যার নূপুরের শব্দ, পাকা শালি ধানের মতো সুন্দর যার ক্ষীণ দেহলতা, অপরূপ যার আকৃতি সেই নববধূর মতো শরৎকাল আসে।’শরৎ এলেই আমরা হারিয়ে যেতে চাই কাশবনে।

কবি জীবনন্দ দাশ শরৎকে দেখেছেন, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রুপ খুঁজিতে যাই না আর’। শরতের এই অপরূপ রুপ দেখে মুগ্ধ কবি অবলীলায় পৃথিবীকে আর দেখার প্রয়োজন নেই সিদ্ধান্ত নেন।

শরৎ শুভ্রতার ঋতু। শরৎ মানেই প্রকৃতিতে শরৎ মানেই নদীর তীরে তীরে কাঁশফুলের সাদা হাসি।

শরৎ শুভ্রতার ঋতু। শরৎ মানেই প্রকৃতি শরৎ মানেই নদীর তীরে তীরে কাশফুলের সাদা হাসি। তবে এবার একটু দেরিতেই কাশফুল ফুটতে দেখা যায়।

বাংলার প্রকৃতিতে শরতের এই দৃশ্য দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের মাঠে-ঘাটে কাশফুল ফুটতে দেখা যায়। এমনকি প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এদেশে কাশফুল ছিল।

বিশেষ করে ফরিদপুর জেলার সব অঞ্চলেই নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেরে ওঠে।

এরা ঘাসজাতীয় জলজ উদ্ভিদ। চিরল পাতার দুই ধারে খুবই ধার। পালকের মতো নরম এর সাদা ফুল। কাশফুলের অন্য একটি প্রজাতির নাম কুশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ ‘পুরাণ’-এ কুশের স্থান খুব উঁচুতে। 

বোয়ালমারী উপজেলার ময়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কালিপদ চক্রবর্ত্তী বলেন,কাশবন চাষে বাড়তি পরিচর্যা ও সার প্রয়োগের প্রয়োজনও নেই।

কাশবনের ব্যবহার বহুবিধ, চারাগাছ একটু বড় হলেই এর কিছু অংশ কেটে গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাশ দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যাবহার হয়।

এছাড়া গ্রামের বধূরা ঝাটা, ডালি, ঝুড়ি তৈরি করতো। গ্রাম বাংলার মানুষ ঘরের ছাউনি হিসেবেও ব্যবহার করতো। সেগুলো এখন  আর চোখে পড়েনা। সম্পাদনা: আল আমিন 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়