শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০৫:২৮ বিকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০৫:২৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইতিহাস সমৃদ্ধ সিনেমা `মাইক', বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পৌঁছে দিবে তরুণ প্রজন্মের কাছে

মনিরুল ইসলাম: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ‘মাইক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী শেষে অনুভূতি প্রকাশ করে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, 'মাইক'  ইতিহাস সমৃদ্ধ সিনেমা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং রাজাকারদের উত্থানের ইতিহাস সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে। 

তিনি বলেন, শিশুতোষ এই সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। এ ধরণের সিনেমা আরো হওয়া প্রয়োজন। পঁচাত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টো পথে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যার কারণে প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানত, সঠিক ইতিহাস জানত না। এই সিনেমাটিতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। 'মাইক' ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' সিনেমাটি এক কথায় অসাধারণ। আমি এই সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সিনেমায় দাইয়ান, সানজিদ, মেঘসহ ৪ শিশুশিল্পী কী যে অভিনয় করল! এককথায় অনবদ্য। এই সিনেমার মধ্যে কোন ছেদ নেই। সিনেমা দেখে আমি অভিভূত। আশা করি এই সিনেমার জন্য শাহীনসহ শিল্পী এবং কলাকুশলীরা সম্মানিত হবেন।

তিনি বলেন, আমার ধারণা বঙ্গবন্ধুর অনুসারী যারা, তার সঙ্গে আমি যুক্ত করব বঙ্গবন্ধুর রক্তধারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ যারা এই সিনেমাটি দেখবেন, তাঁরা দেখে অভিভূত হবেন।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই চলচ্চিত্রটি দেখে দর্শক আন্দোলিত ও উৎসাহিত হবে। নতুন প্রজন্মের জানা দরকার যে ৫২ ও ৭১'র এ কী হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ মানুষকে উজ্জীবিত ও আন্দোলিত করে। সেই কারণে এই ভাষণকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এই ভাষণকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানান।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, 'মাইক' সিনেমা প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ কালে কালে, যুগে যুগে সবসময় প্রাসঙ্গিক। 'মাইক' সিনেমাটি সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা বলেন, মাইক সিনেমা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি খুবই খুশি। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, 'মাইক' সিনেমা দেখে আমি খুবই অভিভূত। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িবে পড়বে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মাইক চলচ্চিত্র দেখে আমি অভিভূত। এই চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল সেটি উঠে এসেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে। কিন্তু ওরা তা পারেনি। আমি আশা করি চলচ্চিত্রটি তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেবে।

কবি অসীম সাহা বলেন, যে স্বপ্ন আমরা দেখতাম, এদেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখে অনুপ্রেরণা পাবে। সেটি এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। আর এই চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পীরা অসাধারণ অভিনয় করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার অনন্যতা দেখিয়েছে।

বিশেষ প্রদর্শনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাইক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, জয়িতা মহলানবিশ, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিতসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

এছাড়া বিবার্তার সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক সরকার, সাংবাদিক নেতা আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, গৌরব '৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম, নির্মাতা ও অভিনেতা কচি খন্দকার, কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুর, নির্মাতা প্রশান্ত অধিকারী, নির্মাতা রেজা ঘটক, কবি আহমেদ শিপলু ও কবি ও ভাস্কর রিঙকু অনিমিখ, বিবার্তার বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রোমেল উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়