ইমরুল শাহেদ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘হাওয়া’ ছবি নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য পোস্ট হচ্ছে। কেউ বলছেন, ছবি রিলিজ হওয়ার দু’দিন আগেই সিনেপ্লেক্সগুলোতে টিকিট বুকিং হয়ে গেছে। আগাম টিকিটের জন্য দর্শক চাপও আছে। সিলেটের একটি সিনেপ্লেক্স উদ্বোধন হবে এই ছবিটি দিয়ে। প্রশ্ন এখানে নয়। একটি সিনেপ্লেক্সের আসন সংখ্যা কত?
এগুলোতে আসন সংখ্যা দুই থেকে তিন শ’য়ের মধ্যে। ছবিটির যদি দুই বা তিনটি শোও যদি পূর্ণ হয়, তাহলে আগের সিনেমা হলগুলোর একটি শোয়ের সমান সংখ্যক দর্শক হয় না। তারপরও সিনেপ্লেক্সে ‘হাউজফুল’ হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ক’জন দর্শক একটি সিনেমা দেখেন। সিনেপ্লেক্সকে কেন্দ্র করে দেশের দর্শক বিভাজিত হয়ে পড়েছেন। যে ছবিটি সিনেপ্লেক্সে হাউজফুল যায়, সে ছবিটিই মফস্বলের সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হলে প্রায় দর্শক শূন্য। এর মানে নগর কেন্দ্রিক দর্শক দিয়ে একটি ছবির সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়। যারা সিনেপ্লেক্স কেন্দ্রিক ছবি নির্মাণ করেন, তারা আমজনতার নির্মাতা নন বলেই নিজেদের প্রমাণ করছেন। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ২৯টিতেই সিনেমা হল নেই। এসব জেলার কিছু কিছুতে ‘গলুই’ ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে।
এরপর আর কোনো নির্মাতা এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা জানা যায়নি। একটি ছবির বাণিজ্যিক সাফল্য মূলত সিনেপ্লেক্সে সীমাবদ্ধ নয়। গ্রামাঞ্চলের মানুষ যদি সিনেমা না দেখতে পারে এবং একটি ছবি যদি দর্শক বারবার না দেখেন তাহলে সে ছবির বাণিজ্যিক সাফল্য সুদূর পরাহত।
একজন নির্মাতা বেশ অহংকার করে বলছিলেন, একটি ছবির শো সংখ্যা সিনেপ্লেক্সগুলোতে ২৮ শোতে উন্নীত করা হয়েছে। তা দিয়ে তিনি ছবিটির চাহিদা বুঝাতে চান। হয়তো ছবিটি জনপ্রিয় হতে পারে। কিন্তু কতোটা জনপ্রিয় তা বুঝা যায় সার্ভারওয়ালাদের সঙ্গে বসলেই বুঝা যায়। প্রকৃতপক্ষে এখন প্রয়োজন গ্রাম ও শহরের দর্শক সমন্বয় করার মতো ছবি।