ভারতের রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে মুম্বাইয়ের প্রশাসন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত পাওয়ারের দল এনসিপির নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় মুম্বাইয়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাবা সিদ্দিকির খুনের পর রীতিমতো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে বলিউড অঙ্গনেও।
বহু তারকা যেমন কথা বলছেন এই বিষয়ে, তেমনি অনুরাগীরাও নিজেদের মতামত ও ভয় প্রকাশ করছেন। সালমান খানের জীবনশঙ্কায় তার কাছের মানুষজন। এবার এক্স হ্যান্ডেলে বলিউডের ‘সুলতান’কে বিশেষ উপদেশ দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হরনাথ সিং যাদব। তিনি মনে করেন, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে সালমানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
শনিবার রাতে পূর্ব বান্দ্রায় দবাবা সিদ্দিকির ছেলে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকির দপ্তরের সামনেই ঘটে এই হামলার ঘটনা। সেখানেই ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। আচমকাই সেখানে হাজির হয় দুষ্কৃতীকারীরা। লাগাতার গুলি চালাতে থাকে।
মোট তিন রাউন্ড গুলি চলে। একাধিক গুলি লাগে বাবা সিদ্দিকির শরীরে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।
শোনা যাচ্ছে, সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা।
লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন এই গ্যাং এর আগে একাধিকবার সালমান খানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সালমানের নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় সালমান। আর সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জেরেই খুন হতে হয়েছে এনসিপি (অজিত) নেতা বাবা সিদ্দিকিকে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য হরনাথ সিং যাদব এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘প্রিয় সালমান খান (ট্যাগ করে), যে কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণোই সমাজ দেবতা মনে করে পুজা করে, তার শিকার আপনি করেছেন এবং মাংস রান্না করে খেয়েছেন। এতে বিষ্ণোই সমাজের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে এবং বহুদিন ধরে বিষ্ণোইদের আক্রোশ আছে আপনার উপরে। ভুল তো মানুষের হয়। আপনি বড় অভিনেতা, দেশের প্রচুর মানুষ আপনাকে সম্মান করেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাকে সদুপদেশ, বিষ্ণোই সমাজের বিশ্বাসকে সম্মান দিয়ে নিজের এই বিশাল ভুলের জন্য আপনার ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত।’
এদিকে গুঞ্জন রয়েছে, সিদ্দিকির পর বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় এবার কমেডিয়ান তথা ‘বিগ বস’ জয়ী মুনওয়ার ফারুকি। ইতোমধ্যেই তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সালমান খানেরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক আকারে।
আপনার মতামত লিখুন :