শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৩৮ বিকাল
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২৩, ১২:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মে মাসে ১২৬০ কোটি টাকা না পেলে ইভিএমে ভোট বন্ধ: ইসি আনিছুর 

এম এম লিংকন: নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামত বাবদ ১২৬০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে কি না তা নিশ্চিত হতে মঙ্গলবার একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তবে জাতীয় নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার নিয়ে এখনও অন্ধকারে আছি আমরা। সোমবার (২০ মার্চ) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

এই চিঠি পাঠানোর উদ্দেশ্যর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার নিশ্চয়তা আমরা এখনো পাইনি। কাজেই টাকার নিশ্চয়তা না পেয়ে কাজ করে শেষ পর্যন্ত দিতে পারব না টাকা, সেটা তো ঠিক হবে না। এই অর্থবছরে অর্ধেক, পরের অর্থবছরে বাকি অর্ধেক- এরকম একটা প্রস্তাব আমরা পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হব। অন্যথায় যদি টাকা না পাওয়া যায়, তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে কী করব। ব্যালটে কতটা করব বা ইভিএমে আদৌ করবো কি না। সবটাই নির্ভর করবে অর্থপ্রাপ্তির ওপর।

* মেরামতযোগ্য ইভিএম এক লাখ ১০ হাজার
* মেরামতের জন্য ছয়মাস সময় নিবে বিএমটিএফ 

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন- এমন প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, আমরা তো অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসে থাকতে পারব না। যদি টাকা হাতে পাই, সেক্ষেত্রে ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলেছে যে, তাদের ছয় মাস সময় দিতে হবে মেরামত করার জন্য। কাজেই আমরা তো মনে করি এখনই হাই টাইম।

এই কমিশনার আরও বলেন, ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। কারণ এক লাখ ১০ হাজার মেশিন যদি আমরা ব্যবহারযোগ্য করতে পারি, তাহলে ৭০-৮০ যে সংখ্যাটা (আসন) হয়, আমরা যেতে পারব। না হলে তো পারব না। করব কি না, তা পরে সিদ্ধান্ত নেব। আশা করছি, হয়তো টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার। কীভাবে করবে তা ...।

আনিছুর রহমান বলেন, এখনো সরকার তো পুরোপুরি না করেনি। আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম, যে টাকার একটা ব্যবস্থা হবে। সেজন্যই সর্বশেষ একটা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরকার কোনো বরাদ্দ না দিলে কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আবার কমিশনে আসবে এটা। কমিশন তখন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তা এখন বলার সুযোগ নেই।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল তৎকালীন কেএম নূরুল হুদা কমিশন। সে সময় জাতীয় নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছিল তারা। বাকিগুলো বিভিন্ন আসনের উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়।  

এমএল/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়