শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৫৮ রাত
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বৃহস্পতিবার নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচন

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকার-নারিকেল গাছের

মোস্তফা কামরুল, ফটিকছড়ি: দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচন জমে উঠেছে। সকল প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচার জোরদার করার পাশাপাশি নিজ নিজ কৌশল প্রয়োগ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের শেষ প্রান্তে এসে নানামুখী মেরুকরণ হচ্ছে। প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হিসেবে সামনে আসছে বিভিন্ন সমীকরণ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নৌকা ও নারিকেল গাছের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কি হয় তা দেখার জন্য ফটিকছড়ির মানুষের চোখ এখন নাজিরহাটের দিকে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৯টি ওয়ার্ডের ২২টি ভোট কেন্দ্রে ৪৮ হাজার ৩৩৮ জন ভোটারের রায়ে নির্বাচিত হবে জনপ্রতিনিধি। সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রথম বারের মত ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলবে। এই পৌরনির্বাচনে মেয়র পদে ৫, কাউন্সিলর ৪১ এবং নারী ৮ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে ৫ জন হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে জাহেদ চৌধুরী, নারিকেল গাছ প্রতীকে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন চৌধুরী, জগ মার্কা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসমাইল গণি, আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল প্রতীকে আনোয়ার পাশা ও চামচ প্রতীকে জাহাঙ্গীর চৌধুরী।

জানাযায়, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ কে জাহেদ চৌধুরীর সাথে স্বতন্ত্র বিএনপির সমর্থনপুস্ট নাছির উদ্দিন চৌধুরীর মূল প্রতিদ্বন্দিতা হবে। এ দুই প্রার্থীর যে কোন একজন নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দুই প্রার্থীই বর্তমানে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে দৌলতপুর ও সুয়াবিল ইউনিয়নকে নিয়ে গঠিত হয় পৌরসভা। ২০১৮ সালে ৩০ মার্চ প্রথম নির্বাচনে পৌর আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রার্থী তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হককে হারিয়ে মেয়র হন বিএনপির প্রার্থী এস এম সিরাজুদ্দৌলাহ চৌধুরী। পরে তিনি আ.লীগে যোগ দেন। বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত নাজিরহাট পৌরসভা। "স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছির দীর্ঘদীর্ঘ এলাকেতে বসবাস করছেন ও সরল প্রকৃতির হিসেবে পরিচিত অর্জন করেছে। দায়িত্ব পালন করছেন নাজিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির। বিএনপির সমর্থন না থাকলেও বিএনপি ঘরানার নাছির সেটা সবারই জানা"। 

"অন্যদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদ চৌধুরীর জন্য দলীয় কোন্দল ভেঙে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। জেলা উপজেলা পর্যায়ের সকল নেতাকর্মী একসাথে কাজ করছে তার জন্য। সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরছে ভোটারদের কাছে। এছাড়াও পরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও স্মার্ট মানুষ হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে জাহেদ চৌধুরীর। তবে নৌকার ভোটে ভাগ বসাতে পারেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল প্রতীকে আনোয়ার পাশা।" সবদিক বিবেচনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিরকে এগিয়ে রেখেছে একটি মহল। 

সাধারণ ভোটারা বলছেন, ‘র্দীর্ঘদিন থেকে এ এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। গত পাঁচ বছরে কোন উন্নয়ন হয়নি। এবার নির্বাচনে নির্বাচিত পৌরমেয়র এলাকার ভাগ্যেন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। আমরা সেই প্রার্থীকে নির্বাচিত করব, যে পৌরবাসীর মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করবেন এবং সেবা দিয়ে কর বাড়াবেন না।’ 

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ কে জাহেদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আমি সেবা করেছি। বিশেষ কওে মৌলিক অধিকার নিয়ে আমি সর্বদা সোচ্ছার ছিলাম। একারণে ভোটাররা আমার পক্ষে রায় দেবেন। নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাধারণ ভোটাররা নেতৃত্ব দেওয়ার মত যোগ্য, শিক্ষিত ও মার্জিত লোকের হাতে মেয়রের দায়িত্ব তুলে দিতে চায়। রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে চাই। 

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৮ জন এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪১ জন পুরুষ প্রর্থী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারাও চষে বেড়াচ্ছেন এ ঘর থেকে ও ঘরে। প্রচার-প্রচারণার শেষ পর্যায়ে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশিও দোয়াও চাইতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ৯ জন নির্বাহী হাকিম দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, দুই প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব টহলে থাকবে। আশারি আমরা সুষ্টু অবাধ ও নিরপেক্ষ নিবাচন করতে পারব।

প্রতিনিধি/এসএ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়