শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৫৬ বিকাল
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৮:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়নি: সিইসি

কাজী হাবিবুল আউয়াল

খালিদ আহমেদ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং যথাসময়ে নির্বাচন করব। আমরা এটাও উনাদের পরিষ্কার করে বলেছি। কিছু কিছু বিষয় নিয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে এখনো নির্বাচনী পরিবেশটা সহানুভূতিসম্পন্ন (কনজেনিয়াল) নয়। 

বুধবার নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, অচিরেই এ মতপার্থক্য দূর হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত সব দল নির্বাচনে আসবে সে বিষয়ে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমরা বলেছি, যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় তাহলে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুরো প্রস্তুতি রয়েছে।’

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যে আমাদের পুরো প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল ইভিএম নিয়ে কোনো অবিশ্বাস আছে কি-না তা জানতে চেয়েছিল। তাদের বলেছি, ইভিএম নিয়ে যে অবিশ্বাস ছিল তা অনেকটা কেটে গেছে। তবে এটাও জানিয়েছি যে, ইভিএম নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না। কারণ আদৌ ইভিএম এভেলেবল হবে কি না। আমরা কী পরিমাণ নির্বাচন ইভিএমে করতে পারব, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের রাষ্ট্রদূতরা গত বছরের জুলাইতে আমাদের এখানে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে তখন নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। এখন যেহেতু আমাদের দশ মাস অতিবাহিত হয়েছে। আমরা নির্বাচন বর্ষে উপনীত হয়েছি। তাই তারা এটাও পিরিয়ডিক্যাল বলে থাকেন, উনারা পুনর্বার মতবিনিময় করতে এসেছেন। মূলত আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি কেমন তা জানতে এসেছিলেন।

সিইসি বলেন, আমরা তাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়েছি, নির্বাচনের কোন কোন বিষয় উনারা জানতে চান। আমাদের ইলেক্টোরাল রোল সম্পর্কে অবহিত করেছি। সংসদীয় আসনের সীমা পুনর্র্নিধারণ, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে আমাদের কোনো উদ্যোগ আছে কি না- এ বিষয়গুলো তাদের জানিয়েছি। আমাদের বর্তমান অবস্থান পরিষ্কার করেছি এবং জানিয়েছি আমরা প্রস্তুত আছি।

পলিটিক্যাল ডায়লগের বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিকবার বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন। ব্যাপক অর্থে তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হয়।

প্রথম থেকেই আমরা এই আবেদন করে আসছি, এখনো করে যাচ্ছি। মতপার্থক্যগুলো রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের জন্য ইস্যু নয়। কাজেই রাজনৈতিক ইস্যুগুলো, যেগুলো নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হতে পারে, সেগুলোর সুরাহা রাজনৈতিক নেতাদের করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সেটা অনুধাবন করতে হবে এবং বুঝতে হবে। তাদেরই সেই অসুখ নিরাময় করতে হবে। তাহলেই নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হবে। সুন্দর, সুষ্ঠু হবে এবং গণতান্ত্রিক চেতনায় যে নির্বাচন প্রত্যাশিত সে নির্বাচনটা ওভাবেই হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় সিইসির সঙ্গে তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

কেএ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়