এম এম লিংকন: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, ইভিএমে ভোট পুনঃগণনা করা যায়, তথ্য জমা রাখা হবে এক বছর, তাই কারচুপি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে ৩১ নং ওয়ার্ডে এক প্রার্থীর আবেদনে ভোট পুনঃগণনা করা হয়েছিল। সময় খুব বেশি লাগে না। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, এই মেশিনে ভোটের ফলাফলের তথ্য এক বছর রাখা যাবে। এই সময়ের মধ্যে ভোটের ফলাফল নিয়ে কেউ আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে তথ্য দেওয়া হবে।
একজন ভোটার ইভিএমে ভোট দিয়েছেন কি না তা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডিজিটাল অডিট ট্রেইলের মাধ্যমে ভোট দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা বের করা যায়। ইভিএমের ভিতরেও এর রেকর্ড থাকে। বুথ থেকে ভোটের ফলাফল সংগ্রহ করতে প্রতিটি কেন্দ্রে কয়টি করে দুইটি করে অডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়। একটি চলমান, অন্যটি অতিরিক্ত।
পিডি বলেন, এই মেশিনের সোর্স কার্ড বা সফটওয়ার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ইভিএমকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করে কারচুপি করা অসম্ভব।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় কারো আঙ্গুলের ক্ষতি হলে তার ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমান আইনে এমন ভোটের হার সর্বোচ্চ শতকরা একভাগ হতে পারবে।
সৈয়দ রাকিবুল হাসান আরো বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন নির্বাচনে প্রায় পাঁচ শতাধিক কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্ট কোন অভিযোগ কেউ দিতে পারেননি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :