আমিনুল ইসলাম: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে পেটানোর ঘটনায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ মে কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম। সেসময় মাদ্রাসার সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে রাজি না হওয়ায় অধ্যাপককে মারধর করা হয়। এ সময় জোরপূর্বক নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজে সই নেওয়া হয়। এমনকি অধ্যাপকের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিস ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের নামে মামলা করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণ উল্লেখ করে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের সুপারিশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশের কপি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১ জুন কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন উত্তরচক আমিনিয়া কামিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তবে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।
সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
আপনার মতামত লিখুন :