শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:৫৭ বিকাল
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সময় স্বল্পতার অজুহাতে জবিতে এবারও হচ্ছেনা দুর্গাপূজা! 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গত দুই বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করা হচ্ছে না শারদীয় দুর্গাপূজা। সময় ও বাজেট স্বল্পতা,আয়োজনের প্রস্তুতি না থাকা সহ বিভিন্ন কারণে এবার পূজা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন পরিষদের। 

তবে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের দাবি গত আগস্ট মাসেই পূজা অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিকট। তাই সময় স্বল্পতা বা প্রস্তুতি নেয়াতে ঘাটতির সুযোগ নেই। পূজা উদযাপন পরিষদের সদিচ্ছা থাকলেই পূজা আয়োজন সম্ভব হত। এবারও পূজা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।

২০১৯ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বড় পরিসরে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়। এরপর করোনা মহামারীর জন্য আর পূজা উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা গত আগস্ট মাস থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের নিকট পূজা উদযাপন করার দাবি জানান।

তবে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আয়োজন হয়নি দুর্গাপূজা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজা আয়োজন নিয়ে ন্যুনতম কোন উদ্যোগ না থাকায় হতাশাও সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চন্দ্রিমা রায় বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে দুর্গাপূজা। আমরা এই পূজাতেই আনন্দ করে থাকি। ক্যাম্পাসে পূজা হলে সহপাঠীদের নিয়ে আনন্দ-উৎসবে পূজা উদযাপন করতে পারতাম। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাবরই পূজা আয়োজিত হয়। সে হিসেবে আমাদের ক্যাম্পাসেও পূজা আয়োজন করা উচিত ছিল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা থাকলেই সব সম্ভব হত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বর্ণালী সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজা না হওয়ায় আমরা হতাশ। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যাদের সামনে পরিক্ষার কারনে বাসায় যেতে পারবে না। যদি ক্যাম্পাসে পূজা হতো তাহলে আমরা সবাই একসাথে পূজা উদযাপন করতে পারতাম। এভাবে পূজা না হওয়ার বিষয়টিতে আশাহত হলাম।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এ বছর বাজেট স্বল্পতা এবং সময় স্বল্পতার কারণে আমরা পূজার আয়োজন করতে পারিনি। দুর্গাপূজা ৫দিন ব্যাপী হয়। ৫দিনে পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার অবস্থাও এবার ছিলনা। তবে আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে  দুর্গা পূজার আয়োজন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়