পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের বড়শিতে ধরা পড়েছে ৩৭ কেজি ওজনের সামুদ্রিক মাছ কালো পোয়া। স্থানীয়ভাবে মাছটি ‘দাঁতিনা’ বা ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।
বুধবার (১২ নভেম্বর) মহিপুর মৎস্য বন্দরের মনোয়ারা ফিশে মাছটি নিয়ে আসা হলে সেটিকে একনজর দেখতে ভিড় জমে যায় বন্দরে। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানায় স্থানীয়রা।
মাছটি আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি তরিকুল বড়শি দিয়ে ধরেছেন। ৩৭ কেজির এই মাছটি ১ লাখ ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সগির আকন বলেন, ‘এমন মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। তাই দেখতে আমরা সকাল থেকেই বন্দরে এসেছি।
শুনেছি মাছটির দাম এক লাখ টাকার বেশি, এটা সত্যিই অবাক করার মতো।’
ইকোফিশ বাংলাদেশের গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া দুষ্প্রাপ্য সামুদ্রিক মাছ। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজির মধ্যে হয়ে থাকে, তবে কখনো কখনো ৫০ কেজিরও বেশি পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী উপকূলে দেখা মেলে।
তিনি বলেন, মাছটির বায়ু থলি বা এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন। এটি চীনা ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এ জন্য মাছটির দাম অনেক বেশি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বন্দরের জেলেরা ৩৭ কেজি ওজনের একটি দাঁতিনা বা কালো পোয়া পেয়েছেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। এ ধরনের মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, সরকারের জাটকা ও মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা মানার সুফল এখন জেলেরা পাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত : চলতি বছর আলীপুর মহিপুর মৎস্য বন্দরে এ প্রজাতির ৫টি মাছ বিক্রি হয়েছে। এতে মাছের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য উভয়ই বাড়ছে, যা উপকূলীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
সূত্র: কালের কণ্ঠ