সালেহ্ বিপ্লব: [২] অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে আগের বছর, ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪১ নম্বরে।
[৩] এই সূচকে বাংলাদেশ ২০২২ সালেও ২০২১ সালের তুলনায় ৮ ধাপ উন্নতি করেছিল।
[৪] সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্নেন্স বাসেল অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং (এএমএল) ইনডেক্স শীর্ষক এ সূচক প্রকাশ করে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স বিশ্বের ১৫২টি দেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে গত ১৩ নভেম্বর এই ইনডেক্স প্রকাশ করে। ২০২২ সালের তথ্যের ওপর এটি তৈরি করা হয়েছে।
[৬] বাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স ২০১২ সাল থেকে এএমএল সূচক প্রকাশ করেছে। পাঁচটি প্রধান সূচকের উপর ভিত্তি করে দেশগুলোর অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি পরিমাপ করে সংস্থাটি।
[৭] সূচকের মধ্যে রয়েছে, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মান, জনস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, রাজনৈতিক অধিকার ও আইনের শাসন।
[৮] প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের সচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
[৯] এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্ত সংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
[১০] সূচকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হাইতি, চাদ, মিয়ারনমার এবং কঙ্গো। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকির দেশ আইসল্যান্ড।
[১১] তালিকায় চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে ২৭, ১১৯ ও ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে।
[১২] ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ১২ বছর ধরে এ র্যাঙ্কিং করে আসছে। একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ভিত্তিতে র্যাঙ্কিং করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা পরিপালনে ৬৫, ঘুষ ও দুর্নীতি আর্থিক সচ্ছতা ও মানদণ্ড, আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ করে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতে ৫ নম্বর রয়েছে।
[১৩] এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) মিউচুয়াল ইভালুয়েশন রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে আটটিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং পাঁচটিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :