মাজহারুল মিচেল: [২] রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শনিবার সকালে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মার্ট নাকুগাঁও স্থলবন্দর উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি করেন।
[৩] প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে নাকুগাঁও স্থল বন্দর নির্মাণ করা হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। বন্দরটি জীর্নশীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এই বন্দরকে ট্রান্স এশিয়ার অন্তর্ভূক্ত করতে হলে বন্দর পর্যন্ত ৮ লেন সড়ক বাস্তবায়ন করতে হবে। মেঘালয়, আসাম ও ভুটানের কাছে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা তুলে ধরতে হবে এবং আমদানীর যে সীমাবদ্ধতা আছে তা দূর করতে হবে।
[৪] বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কাজের কল্যাণে এই বন্দর সম্পর্কে আমার বেশকিছু সুপারিশ এবং কার্যক্রম ইতিমধ্যেই সরকার গ্রহণ করেছে। এই বন্দর পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানো গেলে শেরপুরের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পর্যটন খাতের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে।
[৫] শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ.কে.এম রিয়াজুল হাসান সম্রাট বলেন, শেরপুর জেলার উন্নয়ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণেই এতদিন যাবত আটকে আছে। শেরপুর জেলার এই বন্দর দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করলে শুধু শেরপুর না জাতীয়ভাবেই বৈপ্লবিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাধিত হবে। যার মাধ্যমেই সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব।
[৬] আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্টিক সার্জন আদিলুর রহমান রূপস, শেরপুর জেলা সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শফিউদ্দিন প্রমুখ। সম্পাদনা: এল আর বাদল
এমএম/এলআরবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :