শরীফ শাওন : চাল মিল মালিক, পাইকারি চাল আড়তদার ও কর্পোরেট চাল ব্যবসায়ীদের থেকে চাল মজুদের তথ্য তালিকা আকারে চেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ তালিকা দিতে বলা হয়েছে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে মহাপরিচালক এ তথ্য জানান।
এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, এর পর আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে চালের মিল ও কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের ওপর অভিযান পরিচালনা করবো। এ সময়ের মধ্যে তাদের মজুতের পরিমান তালিকা আকারে দিতে বলেছে। সেই তালিকা রেখেই অভিযান পরিচালিত হবে। এছাড়াও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গুলোতে প্যাকেটজাত যে চাল পাওয়া যায় তার খুচরা মূল্য কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, তা যাচাই করা হবে। তবে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অধিপ্তরের মহাপরিচালক জানান, আলোচনা সভায় কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা চালের প্যাকেট কিভাবে মূল্য নির্ধারণ করেছে, খুচরা চাল কিনে তারা কীভাবে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছে এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের কাছে চালের কী পরিমান মজুত রয়েছে, কর্পোরেটের সঙ্গে যারা যুক্ত আছে তাদের কতটুকু মার্কেট শেয়ার আছে? এসকল বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তররের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিপুর শাহ আলী মার্কেট এলাকায় এবং বাবু বাজার এলাকয় চালের আড়তে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়। বাবুবাজারে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের আব্দুল জব্বার মন্ডল ও মাগফুর রহমান। মিরপুর ১ নম্বররে শাহ আলী মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহানাজ সুলতানা এবং মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। এসময় শাহ আলী মার্কেটে চালের আড়ৎ ও চালের খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে মূল্য তালিকা হালনাগান না করা, মূল্য তালিকায় উল্লিখিত মূল্যেও চেয়ে বেশি মূল্যে চাল বিক্রয় করা ও মজুদের হালনাগাদ তথ্য না রাখায় এসকল প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :