শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৪১ বিকাল
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৪১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবারও বাড়লো গুঁড়া দুধ ও পেঁয়াজের দাম 

গুঁড়া দুধ ও পেঁয়াজ

মনজুর এ আজিজ : তেল, চাল, ডাল, আটা, ময়দার বাড়তি দামের সঙ্গে এবার নতুন করে দাম বেড়েছে গুঁড়া দুধ ও পেঁয়াজের। কোম্পানি ভেদে গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। আর পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। কয়েক মাস ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম ভোগাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। 

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও গুঁড়া দুধের দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে। টিসিবি বাজার থেকে ডানো, ডিপ্লোমা, ফ্রেশ এবং মার্কস গুঁড়া দুধের তথ্য সংগ্রহ করে। গত এক সপ্তাহে এই চার ধরনের গুঁড়া দুধের দাম বাড়ার তথ্য দিয়েছে টিসিবি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গুঁড়া দুধের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে কিছু কিছু গুঁড়া দুধ ৭৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। আগের মতোই এখনো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডানো। ব্যবসায়ীরা ডানো দুধের কেজি বিক্রি করছেন ৮৬০ থেকে ৯০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই দুধের কেজি ছিল ৮৩০ থেকে ৮৫০ টাকা।

এছাড়া ডিপ্লোমা দুধ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ থেকে ৮৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮২০ থেকে ৮৪০ টাকা। ফ্রেশ দুধের বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ থেকে ৮১০ টাকা। আর মার্কস দুধ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।

এদিকে টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ডানো, ডিপ্লোমা, ফ্রেশ এবং মার্কস গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে। অবশ্য টিসিবির দামের তথ্য এবং ব্যবসায়ীদের দেওয়া দামের তথ্যের মধ্যে কিছুটা ব্যবধান পাওয়া গেছে। টিসিবির উল্লেখ করা দামের তুলনায় বাজারে একটু বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে গুঁড়া দুধ।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দাম বেড়ে এখনো ডানো গুঁড়া দুধের কেজি ৮৪০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৮১০ থেকে ৮৫০ টাকা। ডিপ্লোমা ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৮০০ থেকে ৮৪০ টাকা। ফ্রেশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ থেকে ৮১০ টাকা। মার্কস ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৭০০ থেকে ৭৯০ টাকা।

গুঁড়া দুধের দামের বিষয়ে খিলগাঁও তালতলার ব্যবসায়ী ফয়সাল হোসেন বলেন, কয়েকদিন বাজারে গুঁড়া দুধের সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। এখন মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তবে সব কোম্পানিই দাম কিছুটা বাড়িয়েছে। কেজিতে গুঁড়া দুধের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

বনশ্রী এলাকার ব্যবসায়ী মো. আফজালুল হক বলেন, প্রায় এক মাস ধরে দফায় দফায় চাল, আটা, ময়দার দাম বেড়েছে। নতুন করে এখন গুঁড়া দুধের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সব থেকে বেশি বেড়েছে ডানো দুধের দাম। ডানো দুধের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।

পেঁয়াজের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে গেছে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে রামপুরার এক ব্যবসায়ী বলেন, মাঝে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। দুদিন পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা বিক্রি করেছি। এখন ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এক সপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা ছিল।

এদিকে আগে থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া চাল, আটার দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বোতলের সয়াবিন তেলের দাম। সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম এক দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫৩ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের দাম দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৪ থেকে ৬০ টাকা।

খোলা আটার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে এক দশমিক ৬৫ শতাংশ। এতে এক কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৩ টাকা, যা আগে ছিল ৫৮ থেকে ৬৩ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা।

দাম বাড়ার তালিকায় থাকা বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৯০ থেকে ৯২৫ টাকা, যা আগে ছিল ৮৭৫ থেকে ৯২৫ টাকা। লুজ পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।

এমএএ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়