শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ০৬:৫১ সকাল
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:১৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সংকট 

ধান উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার

সালেহ্ বিপ্লব: সরবরাহ অনিশ্চয়তায় বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা পড়েছে সংকটের মুখে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মজুত বাড়াতে সরকার চলতি অর্থবছরে ধান উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুয়ায়ী চলতি অর্থবছরে বিগত অর্থবছরের চেয়ে আড়াই মিলিয়ন টন বেশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। বাসস

ডিএই কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমান অর্থবছরের ধান উপাদন লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন বেশি হওয়ার জন্য আমন ও আউশ ধানের ব্যাপক উৎপাদন অবদান রেখেছে। উচ্চ ফলনশীল ধানের এই দুটি জাতের কারণেই কর্মকর্তারা এখন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারছেন।  
ডিএই জানায়, দেশে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হয় আর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য এই ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন।

ফলনশীলতার দিক দিয়ে বোরো ধান শীর্ষ স্থানে আছে। দেশের মোট উৎপাদিত ধানের ৫৫ শতাংশই বোরো ধান। এরপর অধিক উৎপাদনের দিক দিয়ে রয়েছে আমন ও আউশ ধান। গড়ে বছরে মোট উৎপাদিত ধানের ৩৮ শতাংশ আমন ধান ও ৭ শতাংশ আউশ।  

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বলেছেন।   

ডিএই মহাপরিচালক এম বেনজির আলম বলেন, আমরা নতুন কিছু উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ও গমসহ আরো কিছু শস্য উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কৃষকদের নতুন উৎপাদন কৌশল শেখাচ্ছি।

তিনি জানান, দেশের প্রধান খাদ্যসশ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের চাষাবাদ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। কৃষকদের সহয়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের সবাই কৃষিবিদ।

চলতি বছরের জন্য ডিএই আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন। গত বছরে এই জাতের ধান উৎপাদিত হয়েছে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন টন। আমন চাষাবাদ এখনোও চলছে। ডিএই আশা করছে যে, চলতি বছরে এই জাতের ধানটি লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গিয়ে ১৬ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হবে। গত অর্থবছরের আমন ধানের উৎপাদন হয়েছিল ১৪ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন টন।

ডিএই বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন টন। গত অর্থবছরে ২০ দশমিক ০৯ মিলিয়ন টন বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছিল।

ডিএই মহাপরিচালক বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন। গত বছর এই জাতের ধান উৎপাদিত হয়েছিল ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এম বেনজির আলম আরো জানান, তারা একই সঙ্গে শাকসবজি, আলু, তৈলবীজ, মসুর ডাল, পিঁয়াজ এবং অন্যান্য প্রধান শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়