মনজুর এ আজিজ : রপ্তানির পণ্য পরিবহনের সময় চুরি হচ্ছে, যা ধরা পড়ছে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে মালামাল পৌঁছার পর। এসব ঘটনায় ব্যবসায়ে ক্ষতির পাশাপাশি দেশের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই পরিবহনের সময় রপ্তানির পণ্য চুরি বন্ধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সোমবার(২৭ নভেম্বর) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় খুঁজতে আলোচনায় বসে বিজিএমইএ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার, নির্বাহী সভাপতি সৈয়দ মো. বখতিয়ার, সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী খানসহ অন্যান্য নেতারা।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক সারাবিশ্বে সমাদৃত। ইতোমধ্যে সবুজ শিল্প হিসেবে এটি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। এই অর্জন আমাদের সবাইকে ধরে রাখতে হবে। কিন্তু পরিবহনের সময় পণ্য চুরির ঘটনা আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। তাই চুরির ঘটনা বন্ধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে মহাসড়কে নজরদারি জোরদার করতে হবে।
সভায় দুই সংগঠনের নেতারা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শিল্পের রপ্তানি পণ্য চুরি বন্ধের ব্যবস্থা ও উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
নেতারা বলেন, আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও চুরির ঘটনা রপ্তানিকারকদের লজ্জায় ফেলছে। পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানোর পর এই চুরির ঘটনা ধরা পড়ছে। তাতে আস্থা ফেরানো কঠিন হচ্ছে। তাই চুরি প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব পোশাক কারখানাগুলোকে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের লাইসেন্সসহ চালক, হেলপারদের ছবি এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট রাখার পরামর্শ দেয়া হয় সভায়। পণ্যবাহী সকল কার্গো ভ্যানে জিপিএস ট্র্যাকার নিশ্চিত করারও অনুরোধ জানান নেতারা।
এমএএ/এএ
আপনার মতামত লিখুন :