শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৫৯ রাত
আপডেট : ০৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উচ্চ ফলনশীল চায়না গোল্ড ধান, বিঘা প্রতি ৩৫ মণ

লিয়াকত হোসেন জনী: প্রতি বছরে তিনবার চাষাবাদের উপযোগী ও খরাসহিষ্ণু উচ্চফলনশীল চায়না গোল্ড ধান আবাদে সফলতা পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শফিকুল ইসলাম। তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে চীন থেকে এই ধানবীজ সংগ্রহ করেন। পরে বোরো ও আউশ মৌসুমে আবাদ করেন। এতে একর প্রতি ৩৫ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সফল এই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের কুড়িবাড়ী গ্রামে।

জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি চীনে অধ্যয়নের সময় তাঁর এক বন্ধুর কাছে জানতে পারেন, চায়না গোল্ড জাতের ধান প্রতি বিঘায় ৩৯ থেকে ৪০ মণ উৎপাদিত হয়। শুধু তা-ই নয়, প্রতি বছরে তিনবার আবাদ করা যায় এই জাত। খরাসহিষ্ণু এবং কম পরিচর্যার প্রয়োজন বিধায় চীনে ব্যাপকভাবে এই ধানের আবাদ করা হয়। পরে তিনি ওই বন্ধুর মাধ্যমে ৩ কেজি চায়না গোল্ড ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। 

গত বোরো মৌসুমে তিনি তিন একর জমিতে ওই ধানের আবাদ করে একর প্রতি ৩৫ মণ ধান পেয়েছেন। ওই ধান পাঁচ-ছয় দিন শুকিয়ে বীজ তৈরি করে পুনরায় আউশ মৌসুমে আবাদের জন্য জমি ও বীজতলা তৈরি করেন এবং পুনরায় আবাদ করেন। সেই জমিতেও একর বিঘাপ্রতি ৩৫ মণের বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম জানান, নতুন জাতের চায়না গোল্ড ধান আবাদে অতিরিক্ত কোনো পরিচর্যা করার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ সনাতন পদ্ধতি অবলম্বন করেই এই ধান আবাদ করা যায়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা তৈরি, সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করা হয়েছে। মাত্র একবার সার প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রচন্ড খরার মধ্যেও ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে।

স্থানীয় ধানচাষী নাইম জানান, একই জমিতে বছরে  তিনবার চাষযোগ্য ধান চাষে সফলতা দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই জাতের ধানবীজ সংগ্রহের জন্য আসছেন।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে সংগৃহীত চায়না গোল্ড ধান বোরো ও আউশ মৌসুমে আবাদে ফলন ভালো হয়েছে। আমন মৌসুমেও পর্যবেক্ষণ করা হবে। ফলন ভালো হলে বীজ সংগ্রহ করে মধুপুরের প্রতিটি ব্লকে এই ধানের আবাদ বাড়ানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়