এম এম লিংকন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও বিস্তারে সম্মিলিত প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের থ্রিডি হলে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক কর্মশালায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শ ম রেজাউল করিম বলছেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক আমাদের জন্য খুবই উপযোগী। আমরা এক সময় সামুদ্রিক মাছে অভ্যস্ত ছিলাম না। বিদেশি মাছের চাষাবাদও এখানে হতো না। দেশীয় মাছ ছিল সুস্বাদু। এসব মাছ অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আধুনিক চাষাবাদ করতে গিয়ে একদিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্যদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে দেশীয় মাছ উৎপাদনের উৎসমূলে আঘাত করা হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দেশীয় মাছ খাবারের চাহিদা মেটায় এবং পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটায়। মাছের পাশাপাশি শামুক ও ঝিনুকের নানা প্রকার উপযোগিতা রয়েছে। দেশীয় মাছ এবং শামুকের বিস্তার ও সংরক্ষণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পাশাপাশি দেশের প্রচলিত ও অপ্রচলিত সব ধরণের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণেও কাজ করতে হবে।
বর্তমান সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য অধিদপ্তর দীর্ঘ কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির দেশীয় মাছ ফিরিয়ে এনেছে বলে দাবি করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদের প্রতি আমরা যত বেশি যত্নশীল হব, তত বেশি এ খাতের বিকাশ হবে। এ খাত বিকশিত হলে খাবারের চাহিদা পূরণ হবে, আমিষের যোগান হবে। পর্যাপ্ত উৎপাদন হলে মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :