শিরোনাম
◈ তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদিকে বাড়ি ছাড়তে হবে: হাইকোর্ট  ◈ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: বিএনপি ◈ সরকারের ফাঁদে পা দেইনি, দল ছাড়িনি, ভোটেও যাইনি: মেজর হাফিজ ◈ আমার একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযান নয়, আলোচনা চায় মালিকপক্ষ ◈ বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাবো, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের  ◈ হলমার্ক মামলায় তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন ◈ রাখাইনে আরো একটি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি ◈ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ, দেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজউক ◈ সিলেটে পিকআপ-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২২, ১০:০২ রাত
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২২, ০১:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাড়ছে রেমিট্যান্স, কমছে আমদানি, ফিরছে স্বস্তি

ডলার

মিনহাজুল আবেদীন: সম্প্রতি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে নানা শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে কমে এসেছে আমদানির পরিমাণ। অন্যদিকে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ায় বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে হু হু করে বাড়তে থাকা মার্কিন ডলার এখন উল্টো পথে হাঁটছে। কমছে ডলারের দাম, বিপরীতে বাড়ছে টাকার মান। ডিবিসি টিভি
 
গত সপ্তাহে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলার ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিলো। চলতি সপ্তাহের বুধবার ও বৃহস্পতিবার সেটি নেমে এসেছে ১১০ থেকে ১১১ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমেছে ১০ টাকা।

মতিঝিলের খুচরা ডলার বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, এখন বাজারে ভাটা যাচ্ছে। দাম কমতির দিকে আছে। গতকাল যে রেটে বিক্রি করেছি আজও একই রেটে বিক্রি হচ্ছে। আজ যারা বিক্রি করবে তাদের ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা রেট দিচ্ছি। আর যারা কিনবে তাদের কাছ থেকে ১১০ টাকা নিচ্ছি। ঢাকা পোস্ট  

এদিকে দেশে ডলারের সংকট কাটাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানিতে দেওয়া হয়েছে নানা শর্ত। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে দেওয়া হয়েছে নীতিগত ছাড়। এছাড়া ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ডলার কারসাজির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে চালাচ্ছে অভিযান। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।   

অন্যদিকে বাজারে আরো স্থিতিশীলতা আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার (১৭ আগস্ট) মানি এক্সচেঞ্জগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ দেড় টাকা মুনাফার সীমা ঠিক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা বৈঠক করে। সেখানে বলা হয় ব্যাংকগুলো ডলার কেনা-বেচায় কতো টাকা মুনাফা করবে তা তারা নিজেরাই ঠিক করবে। তবে বেচাকেনার মধ্যে পার্থক্য যেনো এক টাকার বেশি না হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। নিউজ বাংলা

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখাপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর গড় রেট থেকে এক টাকা বেশি দামে ডলার ক্রয় করে সর্বোচ্চ দেড় টাকা মুনাফা করতে বলা হয়েছে। এর আগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ মুনাফার সীমা এক টাকা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ম না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ডলারের সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই মাসে দেশে মোট ৫৫৫ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা জুন মাসের তুলনায় ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ কম। জুন মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিলো ৭৯৬ কোটি ডলারের। তবে জুন মাসে অবশ্য মে মাসের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র ৭ শতাংশ বেশি খোলা হয়েছিলো। মে মাসে ঋণপত্র খোলা হয় ৭৪৪ কোটি ডলারের। যুগান্তর 

এদিকে মানি চেঞ্জাররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে লাইসেন্স প্রাপ্ত ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সব অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মানি চেঞ্জারদের দিনশেষে ডলার রাখার সীমা ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজারে উন্নীত করা, সমিতির সদস্যদের পাসপোর্টে বার্ষিক এনডোর্স সীমা ১ হাজার ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ৫ হাজার ডলার করা, একটি পাসপোর্টে বছরে ১ হাজার ডলার এনডোর্স ও বিদেশগামীদের সঙ্গে করে ১২ হাজার ডলার বহনের অনুমোদন পুনর্বিবেচনা এবং পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স সীমা ও ব্যাংক-কার্ডের লেনদেন সীমা সমন্বয় করার দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে মানি এক্সচেঞ্জ-এর ব্যবসা সনদ নবায়নে বার্ষিক ৫ হাজার ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের শর্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। দেশ রূপান্তর 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়