ডেস্ক রিপোর্ট: কয়েকদিন ধরে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা দরে । কিন্তু বুধবার থেকে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এই চিত্র দেখো যায়। অস্বাভাবিক দামের কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় ডিমের দাম এখন নিম্নমুখী বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
রামপুরার মুদি দোকানি আফাজ উদ্দিন বলেন, দাম বাড়ার আগে প্রতিদিন ১০ কেস ডিম বিক্রি হতো। এখন বিক্রি হয় ৪-৫ কেস। দাম বাড়ায় অনেকে ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আমাদের লস হচ্ছে।
রাজধানীর হাজিপাড়া বউবাজারের ডিম বিক্রেতা সফিউল্লাহ বলেন, দাম বাড়ার পর থেকে বিক্রি কমেছে। এর ওপর এখন বাজারে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে বুধবার এক রাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।
তিনি বলেন, ডিমের দাম পুরোপুরি অস্বাভাবিক ছিল। জীবনে কখনো এত দামে ডিম বিক্রি করিনি। মানুষও এত দামে খায়নি। এজন্য অনেকে ডিম খাচ্ছেন না বা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।
ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমলেও দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমের দাম এখনো কমেনি। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। একই সঙ্গে দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতা এমদাদুল হক বলেন, ফার্মের ডিমের দাম কমেছে। ফলে এখন এমনিতেই দুই-তিনদিনের মধ্যে দেশি হাঁস-মুরগির ডিমের দামও কমবে। ফার্মের মুরগির ডিমের দামের সঙ্গে এগুলো (দেশি মুরগি ও হাঁস) ওঠানামা করে।
ডিমের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপর সরকার। বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে। অন্যদিকে চলমান দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বৃহস্পতিবার তেঁজগাও ডিমের আড়তে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানে ডিমের দামের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কারসাজির প্রমাণ মিলেছে। আড়তগুলো গ্রামগঞ্জের মোকাম থেকে বাড়তি দামে ডিম কেনার কোনো রশিদ দেখাতে পারেনি। এছাড়া তারাও বাড়তি দামে ডিম বিক্রির কোনো রশিদ দেয়নি খুচরা বাজারের ক্রেতাদের।
এসব অভিযোগে তেজগাঁও এলাকায় ডিমের দুটি আড়তকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জামান। সূত্র: জাগো নিউজ, ঢাকা পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :