শাহীন খন্দকার: একের পর এক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই লাগামহীনভাবে বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের দাম। তেল, চিনি, চাল, ডাল, মুরগি, সবজির পর এবার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম। দেহের প্রোটিনের উৎস ডিম ও বর্তমানে দামি পণ্যে পরিণত হয়েছে। গত দুই দিনের ব্যাবধানে চিনির দাম বেড়েছে ৭-১০ টাকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।
গত এক সপ্তাহ আগেও ডিমের দাম হালি ছিলো ৪০ টাকা আর ডজন ছিলো ১২০ টাকা। শনি ও রবিবার এই দু’দিনে বাজারে প্রতি হালি বেড়েছে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রোটিনের উৎস ডিম হালিতে বেড়েছে কমপক্ষে ১০-১৫ টাকা। ৪০ টাকা হালির মুরগির ডিম (লাল) ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আজ রোববারে।
রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে খুচরো দোকানে লাল ডিমের ডজন যেখানে ১১৫-১২০ টাকা, সেই ডিমের ডজন আজ ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ৩০-৩৮ টাকা। মুরগির ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে হাঁসের ডিমের দামও।
হাঁসের ডিমের প্রতি ডজন ২৫-৩০ টাকা বেড়ে আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯৫ টাকায়। ডিমের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং অনেক খামার বন্ধ হয়ে মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। তাই প্রতিদিনের ক্রেতা চাহিদার চেয়ে ডিমের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। ভবিষ্যতে ডিম ও মুরগির দাম আরও বাড়বে বলেও আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দাম বাড়ার পরও বিক্রি তেমন কমেনি, বরং বেড়েছে।
বেশি দামের কারণ সর্ম্পকে ব্যবসায়ি নূরাণী বলেন, মানুষ মাছ, মাংস, মুরগি কিনতে পারছে না। ফলে ডিমের ওপরই তাদের ভরসা। তিনি আরও বলেন, আরও বাড়তে পারে এই আশংকায় মানুষ একটু বেশি করেই ডিম কিনছে।
কারওয়ান বাজারের ডিমের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,ঢাকাসহ দেশের ডিমের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি ডিম ও মুরগি আসে গাজীপুর ও টাঙ্গালের বিভিন্ন উপজেলা থেকে। গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের খামারি ৪ হাজারেরও বেশি। ভূঞাপুরে প্রায় ৫০০ খামারি ছিলো। শিপ্লু তালুকদার বলেন, গরমে মুরগি মরে যাওয়াসহ খাদ্যের ওষুদের দামবৃদ্ধিসহ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পোল্ট্রি খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন লোকসানের মুখে অনেক খামারী।
আপনার মতামত লিখুন :