শিরোনাম
◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে?

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০৫ দুপুর
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঋণ পরিশোধে ৮ বছর সময় পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা

ডেস্ক রিপোর্ট : ডলারের দাম বাড়ার কারণে যেসব   আমদানিনির্ভর শিল্পখাত ক্ষতির মুখে পড়েছে, সেই ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধে আট বছর পর্যন্ত সময় পাবেন। এসব ঋণ আলাদাভাবে হিসাব করে এক বছরের বিরতিসহ প্রতি মাসে বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা যাবে। যেসব আমদানিকারক বিলম্বে ঋণ পরিশোধের শর্তে আমদানি করেছিলেন এবং ক্ষতির শিকার হয়েছেন, শুধু তারাই এই সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে। 

   
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পগুলো কাঁচামাল আমদানিকালে বিনিময় হারজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাসসহ ফোর্সড ঋণ সৃষ্টি হচ্ছে এবং চলতি মূলধনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমদানিনির্ভর শিল্পসহ স্টিল খাত, সিমেন্ট খাত ও স্থানীয় যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিক্রয়মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত, সে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখার মাধ্যমে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানির গতিধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে খাদ্যপণ্য আমদানিকারকদের অনেকে এই সুবিধা পাবেন। কারণ, তেল, চিনিসহ নানা পণ্যের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানির জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলা ঋণপত্রের ক্ষেত্রে বিনিময় হারজনিত ক্ষতির মোট পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নির্ধারণ করবে। অপ্রত্যাশিত বিনিময় হারজনিত ক্ষতির মোট পরিমাণ নির্ণয়ের পদ্ধতিও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষতির সমপরিমাণ অর্থ গ্রাহকের ঋণ-ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চলতি মূলধন ঋণসীমার বাইরে আলাদা একটি মেয়াদি ঋণ হিসাবে স্থানান্তর করা যাবে, যা সর্বোচ্চ এক বছরের বিরতিসহ সর্বোচ্চ আট বছর মেয়াদে সমকিস্তিতে (মাসিক বা ত্রৈমাসিক) পরিশোধযোগ্য হবে।

এতে আরও বলা হয়, এই সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে একক গ্রাহক ঋণসীমা কোনোভাবেই অতিক্রম করা যাবে না। কোনো খেলাপি গ্রাহক প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা পাবে না। এ সুবিধা নিতে চাইলে গ্রাহকদের আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যে নিজ নিজ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহক বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় হারের কারণে প্রকৃত অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কি না, তা ব্যাংক কর্তৃক নিশ্চিত হতে হবে এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগের যাচাইয়ের জন্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

সুত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়