শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আপডেট : ২৩ মে, ২০২৪, ১১:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

মনজুর এ আজিজ: [২] আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও নানা ধরনের বৈষম্য রয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। পিপিআরসি, ওয়াটারএইড, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং সংস্থার ফোরাম/প্ল্যাটফর্ম যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

[৩] সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ছয় নম্বর লক্ষ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ পানীয় জল এবং স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যমাত্রা সঠিক সময়ে অর্জন নিশ্চিত করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বৃদ্ধির হার এবং উন্নয়ন বাজেটের সাথে ওয়াশ খাতের বরাদ্দকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

[৪] তিনি বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন এবং সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। চর, হাওর, পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা এবং নগরের মধ্যকার বরাদ্দ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন।

[৫] ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ওয়াশ খাতের জন্য এডিপির বরাদ্দ ওঠানামা এবং কম আনুপাতিক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাতে (এমডিজি) ওয়াশ খাতের তুলনায় এসডিজি যুগের ওয়াশ খাতের লক্ষ্যমাত্রা আরও জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং, এখন নিরাপদ খাবার পানি এবং নিরাপদ স্যানিটেশনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের তথ্যানুযায়ী আমরা এই লক্ষ্যমাত্রায় যথাক্রমে ৫৯ এবং ৩৯ শতাংশ পূরণ করেছি। পরিবেশ রক্ষার জন্য, পাবলিক প্লেসসহ সব প্রতিষ্ঠানে নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।

[৬] সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ওয়াশ খাতের বেশ প্রশংসনীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। যদিও বিশ্লেষণাত্মক রিপোর্ট দেখায় যে, প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক এডিপির আকার বৃদ্ধির হারের সমানুপাতিক ছিল না। লক্ষ্য করা যায় যে, এডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ওয়াশ খাতের বরাদ্দের জন্য ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ খুবই কম। 

[৭] এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় ছিল ১২৪ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা, যার ফলস্বরূপ সংশোধিত বাজেট ১৩৯ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ অর্থবছরে বরাদ্দ করা সম্পূর্ণ বাজেট ব্যবহার করা যায়নি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়