সালেহ্ বিপ্লব: দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিশেষ করে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে বাণিজ্য প্রসারে ১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৯০ টাকা ধরলে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও নেপালের আঞ্চলিক বাণিজ্যের উন্নতিতে সহায়তার জন্য এই ঋণ অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংক। এ অর্থায়ন নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রবেশদ্বার দেশগুলোর সঙ্গে একীভূত করতে সহায়তা করবে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
বিশাল এ অর্থায়নের আওতায় প্রথম ধাপে বাংলাদেশ এবং নেপালের বাণিজ্য আরও আধুনিক ও ডিজিটাল করা হবে। কারণ এই করিডরে ম্যানুয়াল এবং কাগজভিত্তিক বাণিজ্য প্রক্রিয়া চলমান। এ ক্ষেত্রে অটোমেশনে দ্রুত বর্ডার ক্রসিং টাইম সক্ষম অর্জন এবং ট্রাক প্রবেশ ও বের হওয়া দ্রুতকরণ করা হবে। এছাড়া ইলেকট্রনিক সারি এবং স্মার্ট পার্কিংয়ের জন্য ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং ইনস্টল করা হবে।
দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য দক্ষিণ এশিয়ার মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ, যেখানে পূর্ব এশিয়ায় এটি ৫০ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে আঞ্চলিক বাণিজ্য জরুরি। আঞ্চলিক বাণিজ্য এই অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে শেওলা স্থলবন্দর সংযুক্ত প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৭৫ দশমিক ৩৪ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এই স্থলবন্দরকে সংযুক্ত করে ৪৩ কিলোমিটার দুই লেনের সিলেট-চরকাই-শেওলা সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করা হবে।
এছাড়া প্রকল্পটি বেনাপোল, ভোমরা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরে ডিজিটাল সিস্টেম, অবকাঠামো এবং আরও কিছু প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশের তিনটি বৃহত্তম স্থলবন্দর যা প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিভিত্তিক বাণিজ্য পরিচালনা করে। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।
আপনার মতামত লিখুন :