নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ও তিন লাখ ৪৬ হাজার টাকা ডাকাতির সময় একটি চক্রের চারজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মো. আলম (৬২), মো. আলমগীর হোসেন (৩৯), মো. পলাশ শেখ (৩৫), মো. সাব্বির হোসেন (৩৪)। তাদের মধ্যে বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য ও সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৪] এদের মধ্যে মো. আলম বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য ও মো. আলমগীর হোসেন সেনাবাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেন।
[৫] বুধবার ডিএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ. ম মহিদ উদ্দিন।
[৬] পুলিশ কমিশনার জানান, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা বাজারের জ্যোতি জুয়েলার্সের মালিক তপন কুমার সাহা (৪২) ঢাকার তাঁতী বাজারের প্রাণতোষ কর্মকারের (তার মামা) রাজকোট বুলিয়ন এন্ড জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণ ক্রয় ও মালামাল তৈরি করে নিজের প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা নিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার তিনি ফরিদপুর থেকে ঢাকা তাঁতী বাজার আসেন এবং অর্ডারের ৩৮ দশমিক ৯৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং মামার কাছ থেকে ধার হিসাবে ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা একটি হাত ব্যাগে নিয়ে তার ফরিদপুর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পোস্তগোলার উদ্দেশে সিএনজিতে রওনা হন। পথে শ্যামপুর থানার ঢাকা মাওয়া রোডে পোস্তগোলা ব্রিজের পূর্ব পাশের ঢালে পৌঁছালে কেরানীগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস হঠাৎ সিএনজির গতিরোধ করে। তারপর আসামিরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় এবং সিএনজি থেকে তাকে টেনে হেঁচড়ে মাইক্রোতে উঠিয়ে নেয় এবং তার হাত পা ও চোখ বাঁধার চেষ্টা করে। সে বাধা দিলে তাকে কিলঘুষি মেরে আহত করে। একপর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার নিকট থেকে স্বর্ণালংকর ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ এবং ২টি মোবাইল কেড়ে নেয়।
[৭] তিনি আরও জানান, আসামিরা গাড়িটি ঢাকার দিকে যেতে থাকে। কিছু দূরে যাওয়ার পরেই রাস্তায় যানজটে গাড়িটি ঘুরিয়ে উল্টাপথে আসার সময় কর্তব্যরত সার্জেন্ট গাড়িটি সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে এবং গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে মাসুদ নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দেয়। অপহৃত তপন কুমার পুলিশকে দেখে চিৎকার দিলে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এসময় শ্যামপুর থানার পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে আসলে ডিউটিরত সার্জেন্ট অন্যান্য সার্জেট, টিআই এবং পুলিশসহ শ্যামপুর থানা পুলিশ মিলে আসামিদের আটক করেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী