শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ১০:১৪ দুপুর
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ১০:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কবিরাজের অপচিকিৎসায় ঝলসে গেছে শিক্ষার্থীর দেহ 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী

ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে কবিরাজের অপচিকিৎসায় ঝলসে গেছে শিক্ষার্থীর শরীর। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের মেয়ে ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।

এ ঘটনায় আরিফুল ইসলাম হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।

জানা গেছে, কবিরাজ সায়েদ আলী (৫৫) দীর্ঘ সতেরো বছর যাবৎ কবিরাজি করে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করে আসছে। স্থানীয়ভাবে অনেকবার গ্রাম্য সালিশ মিমাংসা হলেও কেউ আইনের আওতায় আসেননি। এ ঘটনার সাথে সায়েদ আলীর স্ত্রী পাপিয়া খাতুনও জড়িত আছে বলে জানান স্থানীয়রা। 

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমার মেয়ের উপদৃষ্টির ভাব হলে আমি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা সংযুক্ত শুড়া গ্রামের সায়েদ আলী নামের কবিরাজের কাছে নিয়ে যাই। তিনি প্রথমে আমার মেয়েকে ঝাড়ফুক পানিপড়া দিয়ে চিকিৎসা করতে থাকেন। কোন প্রকার উন্নতি না হওয়ায় ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে আমি ও আমার সাথে থাকা মামুন বাধা দিতে গেলে আমাদেরও পানিপড়া খাইয়ে অজ্ঞান করে আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে মেয়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তাকে প্রাথমিকভাবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন ভন্ড কবিরাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোরালো দাবি জানান এলাকাবাসী। 

এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়