শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৪৯ বিকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৪৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে বিসিএস ক্যাডার স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

বিসিএস ক্যাডার স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

শহীদুল ইসলাম: রাজধানীতে যৌতুকের দাবিতে বিসিএস ক্যাডার স্বামীর হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধু। স্বামীর নির্যাতনের পর শুক্রবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে আগারগাঁও নিওরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা নাসরিন মারা যান।

সূত্র জানায়, ফাতেমা নাসরিন ও মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের দীর্ঘ ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন, দাম্পত্য জীবনে ১৭ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকে সাখাওয়াত বিভিন্ন সময় ফাতেমার কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। সাখাওয়াত বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীকে চাপ দেয় যে, সে ঠাকুরগাঁও এ অবস্থিত তার পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করে এনে যেন তাকে ১ কোটি টাকা দেয়। কিন্তু ওই পৈতৃক বাড়িতে আরো অনেকের অংশ রয়েছে, তাই একা বিক্রি করা যাবে না বলে ফাতেমা তার স্বামী সাখাওয়াতকে জানায়।

এদিকে দিন দিন সাখাওয়াতের নির্যাতন বেড়ে যাওয়া ফাতেমা আর সহ্য না করতে পেরে জানুয়ারি মাসে পঞ্চগড় সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাখাওয়াত গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে আবারও যৌতুকের টাকা জন্য ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকেন। সর্বশেষ গত ৮ মার্চ যৌতুকের টাকার দাবিতে সাখাওয়াত তার মোহাম্মদপুরের বাসায় ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকে। এতে প্রতিবাদ করলে সাখাওয়াত ধারালো বটি ও মশলা বাটার কাঠের বাটলা দিয়ে ফাতেমার মাথায় থেতলিয়ে দেয়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে।

 এক পর্যায়ে স্ত্রীকে দা দিয়ে জবাই করতে উদ্যত হয় তখন তাদের সন্তান এসে বাঁধা দেয়। পরে ফাতেমাকে দ্রুত উদ্ধার করে আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন আরজিনা বেগম (৫২) বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মূল অভিযুক্ত করা হয় ভিকটিমের স্বামী মির্জা সাখাওয়াত হোসেনকে (৪৯)।

এদিকে ভাতিজির মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে যান হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে স্বামীর নির্যাতনে ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ফাতেমার স্বামীকে আমরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

এসআই/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়