মাসুদ আলম: রাজধানীর রামপুরায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি রাজু মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারিধারায় এটিইউর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স) এম এম হাসানুল জাহিদ বলেন, রাজু দীর্ঘ নয় বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
তিনি পরিবারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতেন না। আফতাব আহমেদ পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে রাজুসহ বেশ কয়েকজন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার বাসায় প্রবেশ করেন। রাজু মুন্সি ও গাড়িচালক হুমায়ুন আত্মীয়।
তিনি আরও বলেন, বাসায় প্রবেশ করে তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার চেষ্টা করে। এতে বাধা দেয় ও চিৎকার করতে থাকেন আফতাব। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘাতকরা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ঘটনার পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৬ ডিসেম্বর রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের এক বছরের মাথায় রাজু মুন্সিসহ দুইজন জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন চলে যায়।
হাসানুল জাহিদ বলেন, ২০১৭ সালে রাজুসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- বিলাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপরজন সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এমএ/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :