ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর হাতিরঝিল থানার ইস্কাটনে উপ-সচিবের বাসা থেকে আমেনা আক্তার (১৩) নামে এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে হাতিরঝিল থানা পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। আমেনা শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মনিরুজ্জামানের ইস্কাটনের বাসায় কাজ করতেন। কালবেলা, ঢাকা পোস্ট
নিহত গৃহকর্মী নিউ ইস্কাটনের ৩১/এ নম্বর বাড়ির অষ্টমতলায় মো. মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটের কর্মী ছিল। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। বাবার নাম মো. মামুন।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার রাতে খবর পেয়ে মনিরুজ্জামানের ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্মী আমেনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বাসার লোকজন দাবি করেছেন, বাসায় সবার অনুপস্থিতিতে আমেনা গামছা দিয়ে জানালার গ্রীলের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে কিছু সন্দেহ থাকায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমেনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
গৃহকর্তা পুলিশকে জানিয়েছেন, আমেনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ইস্কাটনের ওই বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আমেনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, বাসার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে দাবি করছে আমেনা যখন আত্মহত্যা করে তখন বাসায় কেউ ছিল না। তবে মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল। পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে। তাহলে তার মরদেহ জানালার গ্রিল থেকে কে নামালো। এ বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে এটি হত্যা নাকি অন্য কিছু সেটা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে।
কেবি/ডিপি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :