সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর দশমিনায় ৯৮ নম্বর পূর্ব দক্ষিণ আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. সফিনুর বেগম’র বিরুদ্ধে ভূয়া বিল ভাউচারে ক্ষুদ্র মেরামত ও শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এমপি ও ইউএনও’র বরাবরে পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালযের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ ৭ সদস্য।
জানা যায়, ৯৮ নম্বর পূর্ব দক্ষিণ আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সফিনুর বেগম ১৫ হাজার টাকার সোলার ব্যাটারি, ২৭ হাজার ৫৬ টাকা ২৫ পয়সায় ৫টি চেয়ার, ২৬ হাজার ৫শ’৯২টাকা ৪পয়সায় পানির মটারসহ বিভিন্ন ভূয়া ক্যাশমেমো দেখিয়ে গত বছরের ৩০মে থেকে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পযন্ত বিভিন্ন দফায় সোনালী ব্যাংক দশমিনা শাখা থেকে ২লাখ ২১হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের দোকান থেকে এ ধরনের কোনো মালামাল কেনাই হয়নি। এদিকে, ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শুভ’র চলতি বছরের ১০ মাসের উপবৃত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক মোসা. সফিনুর বেগম আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর অবিভাবক মো. মজিবুর রহমান বিশ্বাস।
ওই শিক্ষার্থীর অবিভাবক মো. মজিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলের উপবৃত্তির টাকা আমার ফোনে না দিয়ে প্রধান শিক্ষক তার নিজের ফোনে নেন। আর এঘটনা এলাকায় প্রকাশিত হলে প্রধান শিক্ষক আমার মাকে (শিক্ষাথীর দাদী) বিদ্যালয় এনে ১৫/২০দিন আগে ১হাজার ৭শ’৮০টাকা ফেরৎ দিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোসা. সফিনুর বেগম অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ সম্পন হয়েছে আর শিক্ষা অফিস প্রত্যায়ন দিয়েছে। তিনি আরও বলেন শুভ’র উপবৃত্তির টাকা আমার ফোনে আসছে আমি প্রায় মাসখানে পূর্বে শিক্ষার্থীর দাদীর কাছে অঙ্গিকানামায় স্বাক্ষর রেখে ১হাজার ৭শ’ ৮০টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
আর এ কাজ আগের সভাপতি সম্পন্ন করেছে বর্তমান সভাপতি এ কাজের তথ্য নিয়ে কি লাভ। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি সরদার কাবির আহাম্মেদ বলেন, আমি গত চার মাস পূর্বে বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায়সহ উন্নয়ন কর্মকান্ডের তথ্য দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাকে বলে নতুন সভাপতির দেখার রাইট নাই।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন উপবৃত্তিসহ শিক্ষার্থীদের বিস্কুট সঠিকভাবে বিতরন করা হচ্ছেনা। পরে বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির তালিকা যাচাই করে দেখি শিক্ষার্থীর অবিভাবকের নাম্বারের স্থালে প্রধান শিক্ষকের ফোন নম্বার লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আমি এ শিক্ষকের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবী জানাই। এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আল-মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিদ্যালয় খোলার পরে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, এ ঘটনায় তদন্তের চিঠি দেয়া হয়েছে । তদন্ত প্রতিবেদন আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ এইচ
আপনার মতামত লিখুন :