শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৪৯ রাত
আপডেট : ০৩ অক্টোবর, ২০২২, ০১:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কান্নাকাটি করায় বিরক্ত হয়ে ৩৫ দিনের শিশু কন্যাকে পুকুরে ফেলে দেন মা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনায় ৩৫ দিনের শিশু কন্যা মারিয়ামকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মা রিতা বেগম (২৮)।

রবিবার (২ অক্টোবর) খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ৩ এর বিচারক নাজমুল কবির তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ঘাতক মা রিতা বেগমকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রিতা বেগম বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার পর অতিরিক্ত কান্নাকাটি ও পায়খানা করতো। এতে বিরক্ত হয় শিশুটির মা রিতা বেগম। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। সকলের অজান্তে মারিয়মকে ঘর থেকে বের করে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘরে এসে রিতা বেগম ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঐ বাড়িতে শুরু হয় হৈচৈ। সকলে খুঁজতে থাকেন শিশু মারিয়মকে। পরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।

একসময় তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সকলের কাছে স্বীকার করেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বটিয়াঘাটা থানার পুলিশ আটক করে। রাতে স্বামী সাইফুল বাদী হয়ে রীতা বেগমকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জালাল বলেন, গত শুক্রবার ভোর সোয়া ৬ টার দিকে মারিয়মের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

ঘাতক মা রীতা বেগম প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।

রবিবার তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তবে স্বীকারোক্তির কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর জানাতে পারবো আদালতে তিনি জবানবন্দিতে কী বলেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়