মাসুদ আলম: সুলভ মূল্যে গাড়ী ক্রয় ও রেন্ট-এ-কার ব্যবসার আড়ালে ভয়ংকর ও অভিনব প্রতারণার অভিযোগে জাকির হোসেন নামে এক চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তিনি কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার ২নং মানিকাচর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। বুধবার কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ২টি মাইক্রো বাস উদ্ধার করা করা হয়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, জাকিরের গাড়ি ২০-২৫টি। সেসব গাড়িই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে দেখাতেন। জাকির কয়েকজন এমপি ও প্রশাসনের লোকদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। তবে তাদের কাছে নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে মাসিক কিস্তির টাকা ঠিকই পরিশোধ করেছেন। এই বিশ্বাসযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে জাকির প্রায় ৩০০ লোককে প্রতারিত করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। শুধু মুন্সিগঞ্জের একটি গ্রাম থেকেই ১৫০ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, জাকির চেয়ারম্যান বন্দর থেকে স্বল্প দামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয়। এছাড়া, বন্দর থেকে কেনা গাড়ি রেন্ট-এ কারের মাধ্যমে মাসিক ভাড়ায় পরিচালনা করার জন্যও চুক্তি করে। একই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সম্বলিত গাড়ি একাধিক জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় করতেন জাকির। আসলে একই গাড়ি একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ভুয়া কাগজপত্রে চুক্তি করে রেন্ট-এ কারে গাড়ি দেওয়ার কথা বলতেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আবার কোনো ক্রেতাকে শুধু ইঞ্জিন নাম্বার দিয়ে মাসিক কিস্তি পরিশোধের ভিত্তিতে কিছুদিন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করতেন। পরবর্তীতে কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করতেন জাকির। পূর্বের বিক্রি করা গাড়ি স্বল্প মূল্যে মালিকানা হস্তান্তরের লোভ দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
ডিবি প্রধান বলেন, জাকির চেয়ারম্যান কখনো ভিকটিমদের কাছ থেকে পুরো টাকা নিয়ে গাড়ি কিনতেন ডাউন পেমেন্টে। আবার ব্যাংক থেকে গাড়ির বিপরীতে কাস্টমারকে না জানিয়ে নিতেন ব্যাংক লোন।
আপনার মতামত লিখুন :