প্রশান্ত বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্কুলে বিলম্ব করে আসায় সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১০ টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে সাবেক মহিলা কাউন্সিলর সামসাদ রানু তাকে লাঞ্চিত করেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের দায়েরকৃত মামলায় সন্ধ্যায় সামসাদ রানুকে গ্রপ্তার করেছে পুলিশ।
স্কুল সুত্রে জানা যায়, আলম ডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর, ও কৃষক লীগের পৌর নেত্রী সামসাদ রানু ওরফে রাঙ্গা ভাবী তার সপ্তম শ্রণীতে পড়া ছেলেকে নিয়ে সকাল ৯ টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে আসেন। ছেলের ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষা কিভাবে, পদ্ধতিই বা কী এবং ছেলেরা আর কতক্ষণ এভাবে রোদে অপেক্ষা করবেন জানতে প্রধান শিক্ষকের আসার প্রতীক্ষা করছিলেন তিনি। সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বিদ্যালয় আসলে সামসাদ রানু তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে টিচারদের রুমে নিয়ে যান। বিদ্যালয়ে কেনো দেরি করে এসেছে জানতে চেয়ে তাকে চড় থাপ্পর মারেন। সে সময় সেখানে থাকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন মহিলা কাউন্সিলরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন।
এদিকে ঘটনার কিছু সময় পর বিদ্যালয় ছুটি হলে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ছেড়ে বাড়ি চলে যান। পরে সহকারী শিক্ষকরা এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে বৈঠকে বসেন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন জানান,কিছু বুঝে উঠার আগেই পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করেন।
ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ডেকেছেন। আমি স্যারের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।
বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি আলম নূর জানান, শিক্ষককে লাঞ্চিত করার বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধ। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রধান শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে প্রপ্তার করেছে। সম্পাদনা: নাহিদ হাসান
প্রতিনিধি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :