শিরোনাম
◈ রাশিয়ার বন্ধু ও নিরপেক্ষ তালিকায় বাংলাদেশ ◈ ভিসানীতিতে সরকার বা আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই চাপে: তথ্যমন্ত্রী ◈ ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৮৬৫  ◈ যারা নির্বাচনকে বাধা ও প্রশ্নবিদ্ধ করবে ভিসানীতিতে ক্ষতিটা তাদেরই: ওবায়দুল কাদের  ◈ ভিসানীতি সরকারের ১৫ বছরের অপকর্মের ফসল: মির্জা ফখরুল  ◈ বিএনপি আসলেই নির্বাচন চায় কি না, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর ◈ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন লাগবে: আইনমন্ত্রী ◈ উই আর ভেরি হ্যাপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড লু ◈ মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবি মির্জা ফখরুলের

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ১০:৫৬ রাত
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ১০:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্যাম্পে নয় নিজেদের ভিটেমাটিতেই ফেরত যেতে চায় রোহিঙ্গারা

জিয়াবুল হক, টেকনাফ: ‘শিগগিরই স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফেরত যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের তালিকা করা হবে। প্রত্যাবাসন হবে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়। কাউকে জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামতকেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। প্রত্যাবাসন ইস্যুর সব বিষয়েই জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করা হচ্ছে।’

২৫ মে বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার  উইং) মাইনুল কবির এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাওয়ার পর বিকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে অংশ নেন তারা। তবে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেনি।

ব্রিফিংয়ে শরণার্থী কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা কালে রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিকত্ব, ভিটেমাটি ফেরতসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। আলোচনা কালে রোহিঙ্গারা রাখাইনে কোনও ক্যাম্পে নয়, নিজেদের ভিটেমাটিতেই ফেরত যেতে চান বলে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে উত্থাপন করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জানান, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের টেকসই এবং ভলান্টারি প্রত্যাবাসন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে ১৪ সদস্যর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ আসে। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মিনিস্টার অং মাইউ।

মিজানুর রহমান আরো  জানান, প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। ঢাকার মিয়ানমার দূতাবাসের দুজন সদস্যও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন। তারা টেকনাফে ২৬ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল এবার ২৮০ রোহিঙ্গা পরিবারের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন।

মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি মূলত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের মূল আবাস মিয়ানমারের রাখাইনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং স্বদেশে ফেরত গেলে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে দীর্ঘ বর্ণনা দেন।

আলোচনাকালে নাগরিকত্ব, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং অবাধ চলাফেরার স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন রোহিঙ্গারা। এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের দাবি পূরণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন শরণার্থী কমিশনার। এতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে উল্লেখ করে  শরণার্থী কমিশনার বলেন, ‘স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহীদের তালিকা করেই রাখাইনে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এর আগে গত ৫ মে রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের রাখাইনে মংডু শহরের আশেপাশে পরিদর্শন করে এসেছে। পরিদর্শন করে আসা রোহিঙ্গা নেতারা তখন জানিয়েছিলেন, রাখাইনে এখনও প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সম্পাদনা: মোরাদ হাসান

প্রতিনিধি/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়