শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৩, ০৯:৩০ রাত
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২৩, ০৯:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫১ বছরে সংরক্ষণ করা হয়নি হরিনগর বধ্যভূমি

হরিনগর বধ্যভূমি

সোহরাব হোসেন, শ্যামনগর (মুন্সিগঞ্জ): আই বুড়ি খালে বিলীন হতে চলেছে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে হরিনগর গ্রামে বধ্যভূমি জায়গা।
 
স্বাধীনতা ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত  এই বধ্যভুমি। এটি সংরক্ষণের সরকারিভাবে উদ্যেগ গ্রহণ করা  করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। হরিনগর আই বুড়ি খালের কোল ঘেষা প্রায় ২০শতাংশ জমিতে এ বধ্যভূমি অবস্থিত। বর্তমান এর বেশিরভাগ জায়গা পাশ দিয়ে বয়ে চলা আই বুড়ি খালে গর্ভে  বিলীন হতে চলেছে। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও হরিনগরের বধ্যভূমি রক্ষা করার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব বীর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিম্ভ বা স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হলেও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে হরিনগর বধ্যভূমি। ১৯৭১ বাংলা ১৩৭৮ সালে ২৭ শে ভাদ্র  এ দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বর্বর রচিত হামলা চালায় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজার সংলগ্ন  স্থল ও নদী বন্দর এলাকায় পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিত ভাবে গানবোর্ড থেকে গুলি করে গণহত্যা করে ২৮ জন। তার মধ্য থেকে ৪ জন প্রাণে  বেঁচে যায়। 

১৯৯৬ সালে তৎকালীন মাননীয় সংসদ সদস্য এ কে ফজলুল হক এ গন কবরের হাল দেখে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মরণে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চত্বর বঙ্গবন্ধু মুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু অবহেলায় পড়ে আছে আমাদের গৌরবের স্মৃতি। বধ্যভূমি পার্শ্ববর্তী বাড়ি অভি কর্মকার বলেন এখানে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে অনেক শহীদদের গণ কবর দেয়া হয়েছে। এই জায়গাটি তে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডারায় এসে পরিদর্শন করে গেলেও এ বধ্য ভূমির জন্য কোন গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয় শ্যামনগর উপজেলার সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন  কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন  আমি সরকারের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বললেও তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি আমার সামনে নির্বাচন শেষে আমি ঢাকায় যেয়ে  মন্ত্রলায় থেকে পাস করে নিয়ে আসবো। ওখানে একটা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির 

প্রতিনিধি/আইএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়