শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:৩০ দুপুর
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের খেলা

গ্রাম

সনতচক্রবর্ত্তী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আমাদের চারপাশের বিনোদনের মাধ্যম। মোবাইল গেমসের কারণে এখন আর বিকেলে মাঠে দেখা যায় না কিশোর-কিশোরীদের। উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গ্রামীণ খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট হারাচ্ছে অনেকেই। তাই বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো।

এক সময় গ্রামীণ বিনোদনের মাধ্যম ছিল হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্ধা, কাবাডি, গোল্লাছুট, কানামাছি, বউচি, পাইক্কা, লোকোচুরিসহ বিভিন্ন খেলা। অথচ বর্তমানে এসব ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার প্রচলন না থাকায় গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের বাঙালীর ঐতিহ্য। একবিংশ শতাব্দীর নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য এসব গ্রামীণ খেলাধুলা তো করেই না, বরং অনেকের কাছে এ খেলাধুলা অচেনা ও অজানা।

তবে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব গ্রামীন খেলা দেখা যায়। কৃষকরা সারাদিন মাঠে কাজ শেষ করে জড়ো হতো খেলার মাঠে। করতালি আর শোরগোলে হাডুডু, কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট খেলা শুরু করতো। ছোট-বড় সবার মন ছিলো খেলার জন্য উদগ্রীব। গ্রামের শিশু-কিশোররা পড়াশোনার পাশাপাশি মেতে উঠতো বিভিন্ন ধরনের খেলায়। 

কিন্তু বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে অতীতের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে। এছাড়াও বর্তমানে শহরাঞ্চলে তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও খোলা জায়গা বা খেলার মাঠের স্বল্পতার কারণে অনেক গ্রামীণ খেলা বন্ধের পথে। ফলে বর্তমানে ভিডিও গেমস, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ইত্যাদি গ্রামীণ খেলাধুলার স্থান দখল করে নিয়েছে। ফলে ছেলেমেয়েরা একটু সময় পেলেই মেতে ওঠে এসব যান্ত্রিক জিনিস নিয়ে। পড়াশুনা যেমন ছেলে-মেয়েদের মানসিক বিকাশ ঘটায়, তেমনি শারীরিক বিকাশ ঘটাতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। 

অতীতের সময়ে প্রতিবছর সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগুলোতে নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হতো। বর্তমানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোনো খেলার মাঠও নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ ঘটছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়ত অচিরেই গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাবে। পরিণত হবে রূপকথার গল্পে। 

এখন, মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে প্রজন্মকে রক্ষা ও গ্রামীণ খেলাকে বাঁচাতে এদেশের সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে এসে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। এরসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই কেবল অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়