শিরোনাম
◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:১৭ দুপুর
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির হিড়িক

সনতচক্রবর্ত্তী, (বোয়ালমারী) ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাকে করে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। মাটি কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বোয়ালমারী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামে অবস্থিত জেলা পরিষদের পুকুরের পূর্ব পাশের হাসেম শেখের মালিকানাধীন ফসলি ক্ষেতের মাটি গত ১৫/২০ দিন ধরে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা বলেন, হাসেম শেখের ফসলি জমিতে পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটি টানার ট্রলিতে করে এসব মাটি নেয়া হচ্ছে ভাটায়। এর ফলে ইট বিছিয়ে পুকুরের পাড়ের উপর তৈরি করা সংকীর্ণ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। 

এদিকে, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে জাহিদ সিকদারের ফসলি জমি থেকে গত ১৫ দিনেরও অধিক সময় ধরে মাটি কাটা হচ্ছে। কর্তনকৃত মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী মাটি টানার ট্রাকের চাপে রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেরই এক বা একাধিক স্থানের ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে অর্থের বিনিময়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন মাটিখেকোরা। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন উপজেলার মাটিখেকোরা। 

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদেরও একটা ভূমিকা পালন করা উচিত। 

উল্লেখ্য, এর আগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করার অপরাধে ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে তৎকালীন ইউএনও মো. রেজাউল করিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেন। আদালতে বালুবহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর বিভিন্ন ধারায় সে সময় তিনি বিভিন্ন জনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। সেই সাথে অবৈধ কাজে ব্যবহৃত জব্দকৃত ট্রলি এবং ভেকু বিনষ্ট করেন। এসব ঘটনায় সংক্ষুব্ধ মাটিখেকোরা একটি পক্ষের ইন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

ওই ঘটনার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফসলি জমির মাটি কর্তন, বিক্রয়কারী এবং অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মাটিখেকোরা। ভাটামালিকেরাও এ সুযোগে মজুদ বাড়িয়ে গড়ে তুলছেন স্ব স্ব ইটভাটায় মাটির পাহাড়। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়