শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: শতবর্ষী পুরানো কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। ব্রিটিশ আমলের এই ভবনটিতে এখনো সেই পুরোনো বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা।
রিউমাটোলজি বহিঃবিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদাব সাউদ সানী নামের এক চিকিৎসক বলেন, আমার মাথার উপরে প্রতিনিয়ত ছাদের পলেস্টার খসে পড়ছে। আর ছোট ছোট গাছের শিকড় রুমের চারপাশে তো আছেই।
জানা যায়, কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল (সদর হাসপাতাল) ১৯৫০ সালেরও অনেক আগে স্থাপিত হয়। বর্তমানে পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে স্বাস্থ্য সেবাদানের কাজ চলছে। যা রোগী ও চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে সেবা দেওয়া আর সেবা নেওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভিতরের কক্ষগুলোর দরজা জানালা ভাঙ্গাচোরা, পাখা গুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় মরিচা ধরেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, এখানে সরকারি চাকরির কারনে সেবা দিতে আসলেও সবসময় অনেক আতঙ্কে থাকতে হয়। এই বুঁঝি ভেঙে পড়ছে ভবন। নেই বাথরুম, বিদ্যুৎ, বসার পরিবেশও নেই। অনেক পুরাতন আসবাবপত্র ব্যবহার করছেন তারা।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এম এ করিম খন্দকার বলেন, পরিত্যক্ত এই ভবনগুলোতে আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ডাক্তার ও রোগীদের একটি ভয় কাজ করে কখন জানি উপর থেকে দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে। আমাদের ডাক্তারদের জন্য যে কোয়ার্টার দেওয়া হয়েছে, তাতেও থাকার মতো কোনো পরিবেশ নেই।
কুমিল্লা জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা জেলায় অন্যান্য হাসপাতালের চাইতে এই জেনারেল হাসপাতাল অনেক পুরানো। বর্তমানে
হাসপাতালের ভবনটি এতই জরাজীর্ণ যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। মাস খানেক আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর বলেছেন, শীগ্রই হাসপাতালের জন্য বহুতল ভবনের অনুমতি দিবেন। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :