সনতচক্রবর্ত্তী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুর জেলা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে চারদিক। সকাল ৯ পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সঙ্গে বইছে ঠান্ডা হাওয়া। তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দরিদ্র ও ছিন্নমূল অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে বয়স্ক ও শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। তবে শীতার্তদের একটি বড় অংশ এখনও শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঢাকা থেকে আসা বাসচালক শহিদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাট ভালো দেখা যায় না। হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
জেলার মধুখালি উপজেলায় রেলগেট এলাকার বাসিন্দা রেজা জানান, ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ঝরছে। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। গকতালও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আজকেও একই অবস্থা। শীতের কারণে লোকজন কাজে করতে পারছে না। অনেকেই শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সড়ক পথেও দ্রুত গতিসম্পন্ন যানবাহন চলাচলে ভীষণ বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে। এ কারণে ভোর সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় কারণে দিনের অনেকটা সময় যানবাহন ধীরে ধীরে চলাচল করতে দেখা যায়। এতে করে সড়কের অনেক স্থানে যানজটের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। তবে বেলা গড়িয়ে দুপুর হতেই সূর্যের আলো তীব্র হতেই কুয়াশা কাটতে শুরু করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে দরিদ্র অসহায় শ্রেণির মানুষেরা। এসব মানুষদের পড়নের পাতলা কাপড় থাকেনা সেসব ব্যক্তিরা শীতবস্ত্র কি করে জোগাড় করবে। এতে করে এসব ব্যক্তিদের শীত মৌসুমে হয়তো কোন হৃদয়বান ব্যক্তির সরনাপন্ন হতে হয়, নয়তো শীতের দুর্ভোগ সহ্য করে কোন রকমে দিন কাটাতে হয়।
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ তেমন একটা নেই। তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিকে।
প্রতিনিধি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :